সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘এই ভোটে প্রার্থী দিলে তৃণমূল হেরে যেত। ফলত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ত। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা।’
বিজেপি বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা যে ভুল ছিল, তা ২০২৩-এর নির্বাচনের বহু আগে থেকেই টের পেয়েছে কাস্তে-হাতুড়ি শিবির। রাজ্যের বহু সংগঠনের নির্বাচনে কোনও দলের সঙ্গে জোট না বেঁধেই বাম শিবির যে পরিমাণ ভোট আদায় করতে পেরেছে, তা হিসেবমতো জোট করার থেকেও গুনতিতে বেশি। বছরের শেষে এসে ডিসেম্বর মাসেও আরও একবার প্রমাণিত হল বাম শিবিরের সমর্থনের শক্তি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ২ নম্বর দাসপুর ব্লকের খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাশীনাথপুর সমবায়ের ভোটে একচেটিয়া জয় পেল বামেরা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এই নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই দাঁড় করাতে পারেনি। সমবায় সমিতির ১২টি আসনের সবক’টিতেই জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। বিজেপি অবশ্য চারটি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল। কিন্তু, তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বামেদের থেকে অনেক পিছিয়ে। যে দাসপুরে দাপটের সঙ্গে শাসন ক্ষমতা কায়েম করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল, সেখানে সমবায় নির্বাচনে বামেদের নিরঙ্কুশ জয় হওয়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ফলাফল দাসপুরের বামেদের আবার জাগিয়ে তুলবে বলেই মত তাঁদের।
এই কাশীনাথপুর সমবায়ের কাছাকাছিই রয়েছে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহ রায়ের বাড়ি। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইতের বাড়িও এখানেই। দাসপুরের বিধায়কও তৃণমূলের। স্থানীয় খুকুড়দহ পঞ্চায়েতটি তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে। এত জোর থাকা সত্ত্বেও কেন সমবায় নির্বাচনে প্রার্থী দিল না তৃণমূল? ব্লক সভাপতি সৌমিত্র সিংহ রায় মেনে নিয়েছেন, ‘কাশীনাথপুর সমবায়ে তৃণমূলের কোনও ভোটার নেই।’ এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতার পালটা অভিযোগ, ‘প্রার্থী দিলে তৃণমূল হেরে যেত। তাতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারত। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা।’
উল্লেখ্য, এর আগে এই সমবায়ে শেষ নির্বাচন হয়েছিল সাত বছর আগে। সেই ভোটেও বামেরাই জয়ী হয়েছিল। এদিকে সমবায়ের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ফুরিয়েছে দুই বছর আগে। তখন থেকে প্রশাসনিক বোর্ড সমবায় পরিচালনা করছিল। তবে সমবায়ে নির্বাচন চেয়ে বামেরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরে হাই কোর্টের নির্দেশেই ভোট হয়। এই সমবায়ের তিনটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিপিএম আগেই জিতে গিয়েছিল। এই আবহে রবিবার সমবায়ে ৯ টি আসনে ভোটাভুটি হয়। মোট ভোটার ৬৬৯ টি, ভোট পড়ে ৬৫১। সিপিএমের এক প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫৭৭ টি ভোট পান। অন্যদিকে, বিজেপির প্রার্থীদের সর্বোচ্চ প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্র ৮১ টি।
আরও পড়ুন-
করোনাভাইরাস আটকে দিতে পারে গ্রিন টি, সমস্ত বায়ুবাহিত সংক্রমণ রোধে আবিষ্কার হল অভিনব ‘এয়ার ফিল্টার’
ডিসেম্বরের শহরে ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর, যাতায়াতে সুবিধা আনতে বাসের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর
ব্যবহারকারীদের জন্য বড় বদল আনছে ইউটিউব, মন্তব্য করার আগে তা ক্ষতিকর কিনা, যাচাই করার সুযোগ