সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বধূর দুই ননদ এবং শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
আলমারি থেকে টাকা নেওয়ার অপরাধে বধূর মাথার চুল কেটে দিল শশুরবাড়ির লোকজন। এমনই মধ্যযুগীয় বর্বতার সাক্ষী থাকল কাকদ্বীপ। বাচ্চার খাবার ও সংসারের টুকিটাকি জিনিস কেনার ঘরের আলমারি খুলে টাকা নিয়েছিলেন বাড়ির বধূ। সেই 'অপরাধে' নাপিত ডেকে বধূর মাথার চুল কেটে নিল শশুরবাড়ির লোকজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ঘটল এমনই ঘটনা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাড়ির টাকা চুরির অভিযোগে চুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বধূর দুই ননদ এবং শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে কাকদ্বীপের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিত বধূ। বাড়ির কিছু জিনিস কেনার জন্যই টাকার প্রয়োজন ছিল তাঁর বার বার সকলের কাছে টাকা চেয়েও না পাওয়ায় অবশেষে আলমারি খুলে টাকা নিয়ে নেন ওই মহিলা। এই কথা বাড়িতে জানাজানি হতেই শুরু হয় চরম নির্যাতন। বধূকে প্রথমে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর নাপিত ডেকে তাঁর মাথা কামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশিরা ঘটনাটি জানতে পেরে এই কাজের প্রতিবাদ করেন। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশসূত্রে জানা যাচ্ছে কাজের জন্য বাড়ির বাইরে থাকেন নির্যাতিতার স্বামী। শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে কাকদ্বীপের বাড়িতে থাকেন নির্যাতিতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায়শই শাশুড়ি এবং ননদ নির্যাতন করতেন বধূ। তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।