সংক্ষিপ্ত
স্ত্রী ও ২ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে এই গ্রামে থাকতেন বছর পঁচিশের কে গণেশ পাত্র। ২০২০ সালে গণেশের সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তির।
কৌটোয় করে কেউটে সাপ এনে স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করল যুবক। কিন্তু কেন এমন ভয়াবহ ঘটনা? জানা যাচ্ছে মূলত টাকার জন্যই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত। সাপের কামড়ে মৃত্যু হলেই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৪ লক্ষ টাকা। সেই টাকার লোভেই স্ত্রী ও মেয়েকে কেউটে সাপ দিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল গঞ্জামের কবিসূর্যনগর এলাকার আধেইবারা গ্রাম। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে স্ত্রী ও ২ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে এই গ্রামে থাকতেন বছর পঁচিশের কে গণেশ পাত্র। ২০২০ সালে গণেশের সঙ্গে বিয়ে হয় বাসন্তির। ২০২১ সালে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে সংসারে সুখ ছিল না গণেশ-বাসন্তীর। প্রায়শই বাসন্তিকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত গণেশ। এমনকী মারধরও করত।
সাপের কামড়ে মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ মেলে ৪ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি এই তথ্য জানতে পারেন গণেশ পাত্র। এরপর থেকেই শুরু হয় ফন্দী আঁটা। দু'জনের মৃত্যুতে ৮ লক্ষ টাকা পেতে পারেন তিনি। এরপর থেকেই মেয়ে ও বৌ-কে খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ীত করার ছক কষা শুরু হয়। বিষধর সাপের সন্ধান শুরু করে গণেশ। অবশেষে এক সাপুড়ের কাছ থেকে প্লাস্টিকের কৌটোয় সংগ্রহ করে সেই বিষধর সাপ। সুযোগ বুঝে সেই সাপ স্ত্রীর ঘরে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্ত যুবক। রাত ২ টো নাগাদ স্ত্রী ও মেয়ে যখন অকাতরে ঘুমোচ্ছে তখন ঘরের মধ্যে সাপ ছেড়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় গণেশ। রাত পোহাতেই ঘরের দরজা খুলে উদ্ধার হয় দুটি নীল মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী ও কন্যার মৃত্যুর জন্য রাস্তায় বেরিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে সে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ততক্ষণে সব শেষ। পরে পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে আস্ল ঘটনা। জেরার মুখে নিজে মুখেই নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে গণেশ।