সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, জলভাগে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান যত বেশি স্থায়ী হবে, তত বেশি শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূলে।
মে মাসের তাপপ্রবাহের দুশ্চিন্তা আপাতত স্থগিত। নয়া দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। সেই ঘূর্ণাবর্ত প্রচণ্ড শক্তি ধারণ করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, যা আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূলে। মার্কিন বেসরকারি আবহাওয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, বঙ্গোপসারে তৈরি হতে চলেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, যার নাম রাখা হবে ‘মোচা’। উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনই এর বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি মৌসম ভবন।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের একেবারে শুরু থেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে বিরাট সাইক্লোন। যার অভিমুখ হবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট বা ইসিএমডব্লিউএফ-এর রিপোর্ট অনুসারে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে ৬ থেকে ৭ মে-র মধ্যে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে। এরপর এটি দারুণ শক্তি ধারণ করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ মে তারিখের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময় বঙ্গোপসাগরের উপকূলের অঞ্চলগুলিতে প্রবল বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে লক্ষ্য রাখতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, জলভাগে ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান যত বেশি স্থায়ী হবে, তত বেশি শক্তি বাড়াবে নিম্নচাপ। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূলে। উত্তর ও দক্ষিণ, উভয় বঙ্গেই বৃষ্টি হবে যথেষ্ট পরিমাণে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। দক্ষিণবঙ্গের নয়টি জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং কলকাতায় এই নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে ভালোরকম। আগামী সপ্তাহের বুধবার প্রবল ঝড় হওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর বলা যাবে যে ঠিক কোন পথে এগিয়ে যাবে, কতটা শক্তিশালী হবে। আপাতত সমগ্র বিষয়টির উপর ক্রমাগত নজর রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকে উপস্থিত থাকবেন জগদীপ ধনখড়, কীভাবে আয়োজিত হবে এই মহিমান্বিত অনুষ্ঠান?
ক্যাডবেরিতে লিস্টেরিয়ার আতঙ্ক, ইউরোপ জুড়ে চকোলেট খাওয়া ছাড়তে চলেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ
সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে বিমান ফিরহাদের এক সুর, মা সারদার বই পড়ছেন অনুব্রত-কন্যা