আজই বকেয়া ২৫% DA পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা? সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
West Bengal DA case: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি উঠবে শুনানির জন্য। এখন দেখার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে কী নির্দেশ দেয়।

আজ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি
মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার ২৫% মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা দেয়নি। উল্টে সময়সীমা শেষ হওয়ার দিনেই সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেখানে আরও ৬ মাস সময় চেয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি ৪ অগস্ট হবে সুপ্রিম কোর্টে।
শুনানির বেঞ্চ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি উঠবে শুনানির জন্য। এখন দেখার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে কী নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকারকে ডিএ বকেয়া ২৫% DA দেওয়ার জন্য আরও ৬ মাস সময় দেয় না দ্রুত মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। অন্যদিকে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করেছিল। সেই মামলারও শুনানি এদিন হবে। তাতে আদালত কী নির্দেশ দেয় তারও অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
ডিএ-র পরিমাণ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। এপ্রিল মাসেই রাজ্য বাজেটের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪% ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পান। রাজ্য ও কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র ফারাক প্রায় ৩৭ শতাংশ। রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে ডিএ দাবি করেছেন।
ডিএ দিতে প্রয়োজন
ডিএ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে খরচ হবে ১১ হাজার ৮৯০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। অবসরপ্রাপ্তদের ডিএ দিতে প্রয়োজন ১১ হাজার ৬১১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। রাজ্যের বাকি কর্মীদের ডিএ দিতে খরচ ১৮ হাজার ৩৯৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে বকেয়া ২৫% হারে ডিএ দিতে খরচ হতে পারে ১০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
রাজ্যের ডিএ দিতে টালবাহানা
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সেই সময় জানিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার মত অবস্থা রাজ্য সরকারের নেই। রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা পাচ্ছে না। সেই কারণে ডিএ দিতে পারছে। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ নিয়ে আবেদনেও সেই কথাই বলেছে রাজ্য সরকার। এখন দেখার নতুন করে কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

