- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ২৭ জুনের মধ্যেই বকেয়া ২৫% দিতে হবে সরকারকে! না হলে এই পথে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা
২৭ জুনের মধ্যেই বকেয়া ২৫% দিতে হবে সরকারকে! না হলে এই পথে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা
DA News: ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কয়েক দিন আগে থেকেই সরব ছিল। তাদের কথায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত রাজ্য সরকার যদি ডিএ না দেয় তাহলে তারা আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন।

বকেয়া ২৫% মহার্ঘ ভাতা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্য সরকার বকেয়া ২৫% ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ৬ সপ্তাহের মধ্যেই মিটিয়ে দিতে হবে।
চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট
চার সপ্তাহের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিতে হবে। পাশাপাশি ৪ সপ্তাহের মধ্যেই ডিএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত সময়সূচী
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত ডিএ দেওয়ার সময়সূচী শেষ হবে আগামী ২৭ জুন। আর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে ১৬ জুনের মধ্যে।
সরকারি ভূমিকা
তবে নবান্ন এই বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করেনি। কিন্তু নবান্ন ডিএ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। নবান্ন ইতিমধ্যেই ডিএ পাবে এমন কর্মীদের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ডিএ দেওয়ার জন্য একটি পোর্টাল তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ
এই পরিস্থিতিতেই ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কয়েক দিন আগে থেকেই সরব ছিল। তাদের কথায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত রাজ্য সরকার যদি ডিএ না দেয় তাহলে তারা আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষ তাদের আগামী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি জোরদার আন্দোলনের কথাই বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সময় যত এগিয়ে আসছে ততই সরকারি কর্মী আর পেনশনভোগীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
ভাষ্কর ঘোষ ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, 'তৎকালীন বিরোধী নেত্রী (মমতাা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) বলেছিলেন যে সরকার ডিএ দিতে পারে না তার ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর অর্থমন্ত্রী হিসেবে অমিত মিত্রকে নিয়োগ করা হয়। যার উদ্দেশ্যই ছিল দক্ষ শ্রমিকদের সস্তা শ্রমিকে পরিণত করা। সেই কারণেই ডিএ ও পরবর্তীতে মূল বেতন কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।'
সরকারি কর্মীদের ওপর প্রভাব
তিনি আরও বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন না বাড়িয়ে সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান কমানোর এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা ছিল।
বেতন বৈষম্য
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীরা এখন ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে কম বেতন পান। তিনি বলেন, সরকার কম বেতন দিলে তার প্রভাব অন্যান্য ক্ষেত্রেও পড়ে, যেমন – বেসরকারি স্কুলগুলোও তাদের বেতন বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়।
সরকারের আর্থিক অবস্থা
সরকারের তহবিলের অভাবের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভাস্কর ঘোষ বলেন, ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় পাঁচগুণ বেড়েছে। তিনি সরকারের ব্যয়ের সঠিক পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করেন। তাঁর মতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত জনপ্রিয় প্রকল্পের পাশাপাশি সরকার ডিএ দিতে পারে। কোনও সমস্যা নেই।
ডিএ না দিলে
ভাষ্কর ঘোষ বলেন সরকার ডিএ না দিলে আরও বড় আন্দোলন হবে। পাশাপাশি আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করা হবে।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ভাষ্কর ঘোষ রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

