সংক্ষিপ্ত

ঘরোয়া আড্ডায় ব্যবহৃত শব্দ এবং সরকারিভাবে ব্যবহারের শব্দ আলাদা। অনেকেরই সে কথা খেয়াল থাকবে না। এর ফলে অনেক সময় বিপত্তি ঘটে।

‘কী ডার্লিং, চালান দিতে আসছো?’ এক মহিলা কনস্টেবলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন জনক রাম নামে এক ব্যক্তি। এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এ (১) (৪) ধারা অনুযায়ী 'ডার্লিং' শব্দ যৌনগন্ধী। এই শব্দ ব্যবহার আপত্তিকর। যে মামলায় এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত, সেই ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর। আন্দামানের মায়াবুন্দের থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উৎসবের রাতে রাস্তায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। সেই সময় এক মহিলা কনস্টেবলের উদ্দেশ্যে 'ডার্লিং' শব্দ ছুড়ে দেন জনক রাম। এর জন্য তাঁর ৩ মাস কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। এরপর এই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেও রেহাই পেলেন না জনক রাম।

কলকাতা হাইকোর্টে টিকল না জনক রামের যুক্তি

জনক রামের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি 'ডার্লিং' শব্দকে অবমাননাকর বলে মানতে আপত্তি জানান। তিনি অভিধানের উল্লেখ করে বলেন, 'ডার্লিং' শব্দের অর্থ 'ভালোবাসা', 'স্নেহ', ‘আদর’। এই শব্দ ব্যবহার করার জন্য জরিমানাই যথেষ্ট বলেও দাবি করেন জনক রামের আইনজীবী। কিন্তু তাঁর যুক্তি খারিজ করে দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। 

'ডার্লিং' সম্বোধন সব ক্ষেত্রে চলে?

জনক রামের মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তার সঙ্গে একমত প্রাক্তন বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতির মতে, এই মামলায় 'ডার্লিং' শব্দ যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা যৌনগন্ধী। ফলে জনক রামের সাজা হওয়াই উচিত। মনোবিদ অমিত চক্রবর্তীর মতে, 'ডার্লিং' শব্দের মধ্যেই যৌনতার ছোঁয়া রয়েছে। বিশেষ কোনও সম্পর্ক ছাড়া এই শব্দ ব্যবহার করা যায় না। এই কারণে হাইকোর্ট ঠিক রায়ই দিয়েছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

সিংহজুড়ির নাম আকবর-সীতা কেন? কলকাতা হাইকোর্ট তুলোধনা করল রাজ্য সরকারকে

রাজ্যের জেলে জন্ম ১৯৬ জন শিশুর! মহিলা বন্দিরা কীভাবে গর্ভবতী হচ্ছেন? জেনে অবাক হাইকোর্ট

Porn Film: মোবাইলে পর্ন ছবি দেখা কি ভারতে অপরাধ? রায় দিল হাইকোর্ট