সংক্ষিপ্ত
শনিবার সন্ধ্যেবেলায় প্রথম পথে নামেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজিত জনতা একটি পুলিশ আউটপোস্ট ভাঙচুর করে। এরপর মহিষমারি হাটে স্থানীয়রা জমায়েত করেন
আরজি কর ধাঁচেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। নাবালিকা খুন ও ধর্ষণকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর উত্তপ্ত রইল গোটা এলাকা। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে সরব হন তাঁরা। আরজি কর কাণ্ডে যেমন পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল জয়নগরেও তেমনই স্থানীয়দের ক্ষোভ পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ যদি শুক্রবার রাতেও গুরুত্ব দিত তাহলে অকালে ঝরে যেত না এমন একটি তাজা প্রাণ।
শনিবার সন্ধ্যেবেলায় প্রথম পথে নামেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজিত জনতা একটি পুলিশ আউটপোস্ট ভাঙচুর করে। এরপর মহিষমারি হাটে স্থানীয়রা জমায়েত করেন। বিচার চান ১০ বছরের নাবালিকার। দোষীদের শাস্তিরও দাবি জানায়। এই পুজোর মধ্যে এই জমায়েতে যেমন ছিলেন পুরুষরা তেমনই ছিলেন মহিলারাও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় আসেন পুলিশ সুপার চন্দ্র ঢালি। তিনি বলেন পুলিশ নিস্ক্রিয়তা নিয়ে অপ্রচার করা হচ্ছে। পুলিশের কোনও গাফিলতি নেই। তিনি বলেন,পাঁচ ঘণ্টায় দেহ সনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডের মত যাতে প্রমাণ লোপাট না হয় তারজন্য কাঁটাপুকুর মর্গে আনা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। সেখানেও বামনেত্রী দীস্পিতা ধরের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কা হয়।
টিউনশন পড়তে গিয়ে গতকালই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ১০ বছরের ছাত্রী। ক্লাস ফোরে পড়ত। রাতপর খোঁজ না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। তারপর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই পরিবার ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ তোলে। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।