সংক্ষিপ্ত

আঞ্চলিক বিধায়করা নিজের এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। 

বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়িতে বাড়িতে হাজির হয়েছেন ‘দিদির দূত’-রা। আগেই একটি তালিকা বা রোস্টার তৈরি করে দিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার কর্মসূচির শুরুতে আঞ্চলিক বিধায়করা নিজের এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকা পরিদর্শনের পর এলাকারই কোনও কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাতে পারেন বিধায়করা। ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে ‘দিদির দূত’-এর ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলায় ‘দিদির দূত’ হিসাবে কাজ করবেন দলের প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভলান্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন।

কর্মসূচিটির দুটি পর্যায় থাকবে। প্রথম পর্যায়ে অংশ নেবে সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্র সহ মোট ৩২০ জনের টিম। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি ২৮ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের কর্মসূচি চালাবেন, গ্রামে গ্রামে রাত্রিবাসও করবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন প্রচারক ১০টা করে অঞ্চলে রাত্রিবাস করতে পারলে ৩২০ জন মিলে মোট ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত্রিবাস করা যাবে। অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ অঞ্চলে পৌঁছনো সম্ভবপর হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলার প্রত্যেক বুথে পাঁচজন করে কর্মী ‘দিদির দূত’ হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। এই কর্মীরা ‘দিদির দূত’ অ্যাপের মাধ্যমেও কাজ করবেন, তাই এঁদের প্রত্যেকের কাছে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। প্রত্যেক ‘দিদির দূত’-এর কাছে বিশেষ আইপি নম্বর দেওয়া আছে। দিদির দূত অভিযানে জেলায় জেলায় একজন করে রাজ্য সমন্বয়কারী আছেন। তাঁদের অধীনে তিনজন করে কাজ করবেন। এই তিন জনের অধীনে জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন ১০ থেকে ১৫ জন। প্রতি ব্লকে এই সমন্বয়কারীদের অধীনে থাকবেন ৫ জন। ইতিমধ্যেই ‘দিদির দূত’-দের প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে বিধানসভা এলাকাগুলিতে। কর্মসূচির শেষ ধাপে গিয়ে এক জেলার নেতা-কর্মীরা আরেকটি জেলায়, কিংবা শহরের কর্মীরা গ্রামে গিয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

দিদির দূত অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করে নেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ‘দিদির দূত’-রা যখন বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে মানুষজনকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বা না-পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করবেন, সেগুলো সবই ওই অ্যাপে তোলা হবে। অ্যাপটি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল।

আরও পড়ুন-
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সম্মান এনে দিয়েছেন সারা ভারতকে, বেহালার পৌলমীর রোজগার এখন দিনে দু-তিনশো
‘ডেঞ্জার জ়োন’-এর বাড়ি না ভাঙলে আরও বিপদে পড়বে জোশীমঠ, জোরকদমে চলছে বাড়ি ভাঙার কাজ
বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি, কলকাতা পুলিশ অনুমতি না দিলেও কর্মসূচি অব্যাহত