- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ভোটের আগেই সক্রিয় দিলীপ ঘোষ, ঝড় তুললেন রামনগরে বিজেপির চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে
ভোটের আগেই সক্রিয় দিলীপ ঘোষ, ঝড় তুললেন রামনগরে বিজেপির চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে
চায়ে পে চর্চায় সংগঠন আরও মজবুত করার ডাক দিলেন দিলীপ ঘোষ,রামনগরে বিজেপির কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের বিপুল উপস্থিতি, রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিলের দিলীপ।

সক্রিয় দিলীপ ঘোষ
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিজেপি শিবিরে দুর্দান্ত খবর। রীতিমত সক্রিয় হলেন বিজেপির সবথেকে সফল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে কলকাতায় নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে। তাও আবার নিজের গড় খড়গপুর নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। সেখানেই তিনি বিজেপির জনপ্রিয় কর্মসূচি 'চায়ে পে চর্চা'য় অংশ নেন।
প্রধান অতিতি দিলীপ
সংগঠনকে তৃণমূল স্তর থেকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরে বিজেপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা, ব্লক ও মণ্ডল স্তরের নেতৃত্বের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক।
মানুষের কাছে পৌঁছাতে নির্দেশ
চায়ের আড্ডার স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মতবিনিময়ে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। সংগঠনকে আরও শক্তপোক্ত করা, তৃণমূল স্তরে বিজেপির বিস্তার, কর্মীদের দায়িত্ব ও ভূমিকা—এই সব বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমস্যার কথা শোনা এবং সংগঠনের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই এখন দলের প্রধান লক্ষ্য। দলের প্রতিটি কর্মীকে মাঠে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এই ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে বিজেপি নেতৃত্বরা দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সাংগঠনিক প্রস্তুতি এবং আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। কর্মসূচি জুড়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে—সংগঠনের ভিত মজবুত করাই আগামী দিনের প্রধান অগ্রাধিকার।
মেসি-কাণ্ডে রাজ্যকে তুলোধনা
এদিন পাশাপাশি যুবভারতী স্টেডিয়ামে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সব মিলিয়ে, রামনগরের ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি শুধু এক আড্ডা নয়, বরং বিজেপির সাংগঠনিক প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করল—দলকে আরও সংঘবদ্ধ করে মানুষের কাছে পৌঁছনোর স্পষ্ট ডাক।
দিলীপের 'ফেরা'
গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির অন্দরে বেশ কিছুটা কোনঠাসা ছিলেন দিলীপ ঘোষ। মূলত দিঘায় জগন্নাথ মন্দির দর্শন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য বিজেপির নেতারা। কেন্দ্র বিজেপিতে তাই নিয়ে নাশিলও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই ঘরে বাইরে কিছুটা হলেও কোনঠাসা ছিলেন। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরেই একাধিক কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু রাজ্যের দাবাং বিজেপি নেতা নিজের মত করেই চলছিলেন। কিন্তু এদিন বিজেপির চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে দিলীপকে প্রধান অতিথির আসন দেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছে দিলীপ ঘনিষ্টরা।

