North Bengal Tea Garden: দুর্গাপুজো শুরুর আগেই কর্মসংস্থান নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ! উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই পাহাড়ে বন্ধ হয়ে গেল চা বাগান। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

North Bengal Tea Garden: আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে যেতেই বন্ধ হয়ে গেলো আরও তিনটি চা বাগান। উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই ঘন অন্ধকারে ঢাকলো উৎসবের রোসনাই। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার সাংসদ মনোজ টিগ্গা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, ‘’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আসলে চা বাগান খোলে, আবার কলকাতা ফিরে গেলেই বন্ধ হয়ে যায়।''

হঠাৎ কেন বন্ধ হল চা বাগান? 

আর এবার সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হলো। পুজোর মুখে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেলো ডুয়ার্সের তিনটি চা বাগান। পুজোর মুখে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় কয়েক হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। কার্যত বিনা নোটিশে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে চা বাগান ছেড়ে পালিয়ে যায় বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ।

ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের অন্তর্গত একই মালিকানাধীন রেডব্যাংক চা বাগান, সুরেন্দ্র নগর চা বাগান এবং চামুর্চি চা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল থেকেই তিনটি বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

 জানা গিয়েছে, বাগানগুলোতে বেশ কয়েকটি পাক্ষিক মজুরি বকেয়া রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুজোর বোনাসও দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাগানে কাজ চলছিল। এরপর রাতের অন্ধকারে কোনও রকম নোটিশ না দিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন ম্যানেজাররা। যারফলে পুজোর মুখে কাজ হারিয়ে বিপাকে চা বাগানের শ্রমিক এবং কর্মচারীরা।

কী দাবি চা-বাগানের শ্রমিকদের? 

এদিন তারা চামুর্চিতে ভারত-ভুটান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চামুর্চি চা বাগানের শ্রমিকদের। বানারহাট থেকে চালসাগামী জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন রেড ব্যাংক চা বাগানে শ্রমিকরা। এদিকে রাতারাতি এভাবে তিন তিনটি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন বানারহাটের তৃণমূলরের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন যে, ‘’মালিক কর্তৃপক্ষ বোনাস না দিয়ে রাতের অন্ধকারে চলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম বিষয়টি শ্রমিকদের নজরে আসে। তারা দেখতে পান যে বাগানের ম্যানেজারের বাংলোর গেটের সামনে পাহাড়া নেই। কারখানার গেটের সামনে প্রহরীকেও দেখতে পাননি কেউ। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের।''

 তিনি আরও বলেন, '’খবর ছড়িয়ে পড়তে রাতেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চামুর্চি চা বাগানে। ওই রাতেই খবর পাওয়া যায় রেডব্যাংক চা বাগানেও একই ভাবে মালিক কর্তৃপক্ষ নোটিশ না দিয়ে চলে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শ্রমদফতরের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পুজোর আগে শ্রমিকরা যাতে বোনাস পায় সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি।” তবে এখন দেখার উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে কোন দিকে মোড় নেয় চা-শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ! 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।