BSF News: মোটর সাইকেলের সামনে এবং পিছুনের টাইরের টিউবের ভিতর থেকে ১৪ প্যাকেট রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। তার পরেই সে পাচারকারীকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে বিএসএফ। বিশদে জানতে আরও পড়ুন…
West Bengal News: ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালান রোধে বড়সড় সাফল্য বিএসএফের। একটি মোটরসাইকেল থেকে বাজেয়াপ্ত ১৬.৭১ কেজি রূপো এবং রূপোর গয়না। উত্তর ২৪ পরগনার দহরকান্ডা থেকে হাকিমপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি মোটরসাইকেল।
সূত্রের খবর, বিএসএফের ১৪৩ ব্যাটালিয়নের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে, ভারি মাত্রায় রূপো পাচার করা হতে পারে। রবিবার সকাল ১০:৫৫ মিনিট নাগাদ খবর পেয়েই সেই মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানরা। মোটরসাইকেল আরোহীর ব্যবহার দেখা সন্দেহ হয় কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদের। তার পরেই তারা মোটরসাইকেল মেকানিক ডেকে আনে।
মোটর সাইকেলের সামনে এবং পিছুনের টাইরের টিউবের ভিতর থেকে ১৪ প্যাকেট রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। তার পরেই সে পাচারকারীকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে বিএসএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাকিমপুর চৌকি নিয়ে আসা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে রবিবার সকালে বিথারী বাজারের একটি জায়গা থেকে একজন ভারতীয় নাগরিক থেকে ১৪ প্যাকেট রূপ পেয়ে ছিল।
এই রূপো সে হাকীমপুরের ঘোষপাড়ার আর একজন বাসিন্দাকে দিতে যাচ্ছিল। আর এই কাজের জন্য ধৃত ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে পাচার রুখতে আরও একবার বড়সড় সাফল্য বিএসএফের। উদ্ধার হওয়া রূপোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৬.৪৯ লক্ষ টাকা। ধৃত ব্যক্তির থেকে উদ্ধার রুপোর গয়না এবং মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারত - বাংলদেশে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাচার এবং অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিএসএফ। আরও চলবে এই অভিযান।
অন্যদিকে, এটিএম জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডা। গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে এটিএম কার্ড বদলে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পলাশীপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম হাসিদুল মণ্ডল। বাড়ি পলাশিপাড়া থানার বড়েয়া এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পলাশিপাড়া নাকাশিপাড়া সহ বেশকিছু জায়গায় থেকে এটিএমে কার্ড বদল ও টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। শনিবার সকালে এই ঘটনার শিকার হন পলাশিপাড়া থানার বার্নিয়ার যুবক শিবনাথ দাস। তিনি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিস জানতে পারে দুষ্কৃতীরা এই কাজের জন্য বয়স্ক ও মধ্য বয়সি যুবকদের টার্গেট করছে।
দুষ্কৃতীরা প্রথমে এটিএম মেশিনে কিছু কারসাজি করছে। এরপর বাইরে গ্রাহক আসার অপেক্ষা করছে। গ্রাহক টাকা তুলতে না পারলে বাইরে থাকা জালিয়াতরা এটিএমের ভিতরে ঢুকে ওই গ্রাহককে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। তার কাছ থেকে এটিএমের পিন নম্বর জেনে টাকা তুলেও দেয়। ওই টাকা গ্রাহকের হাতে দেওয়ার পর কথার ছলে এটিএম কার্ডটি বদলে দিচ্ছে। পরে সেই কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ অভিযুক্তকে ধরার জন্য বার্নিয়ার একটি এটিএম বেছে নেয়। তার পাশে একটি পুলিসের দলকে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়। পুলিস একজন বয়স্ক লোককে ওই এটিএমে টাকা তোলার জন্য পাঠায়। কিছুক্ষণ পরেই হেলমেট পরে এক যুবক ওই এটিএমের সামনে আসে। হেলমেট খুলে কেন্দ্রে ঢুকে ওই সাজানো গ্রাহকের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটতে থাকে। তা বুঝতে পেরে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ কর্মীরা এটিএম ঘিরে ফেলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চার লক্ষ টাকা এভাবে হাতিয়েছে ওই যুবক। বার্নিয়াতেই এই রকম তিনটি ঘটনা ঘটেছে। এটিএম মেশিনে কী কারসাজি করত। কোথায় কোথায় অপারেশন চালাত। আর কারা এই ঘটনায় জড়িত কি না, সব জানার চেষ্টা চলছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


