Durga Puja 2025: উৎসবের মরশুম আসন্ন। অপেক্ষার আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ঢাকের পিঠে পড়বে কাঠি। আর বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দে অতীত ঐতিহ্য নিয়ে মেতে উঠেছে সিঙ্গাবাদ জমিদার বাড়ি। পড়ুন বিশদে..
Durga Puja 2025: দেশ ভাগ, সময়ের পরিবর্তন, জমিদারির অবসান—সবকিছুর পরও অটুট রয়েছে ঐতিহ্য। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিলাসন এলাকার সিঙ্গাবাদ জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো আজও শুরু হয় এক বিশেষ রীতিতে—শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে।
প্রায় ২২৫ বছর আগে সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে ব্যবসার সূত্রে বাংলায় আসেন অবোধ নারায়ণ রায়। মালদহের হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ট্রেনে ডাল নিয়ে এসে নৌকায় করে তা পাঠাতেন ঢাকা, রাজশাহী ও কলকাতার খিদিরপুর বন্দরে। ব্যবসার সুবিধার জন্য প্রায় তিন হাজার টাকায় ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে তিনি জমিদারি ক্রয় করেন। পরে তিন সাধুর পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়। সেই থেকে আজও চলছে এই পুজো।
২২৫ বছরের ঐতিহ্য অটুট: গুলি চালিয়ে সূচনা হয় সিঙ্গাবাদ জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর:-
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় জমিদারি এলাকার বড় অংশ পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)-এ চলে গেলেও ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের কাঁটাতার থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে রয়ে গেছে সুবিশাল জমিদারবাড়ি। বাড়ির দেওয়ালে আজ ফাটল ধরেছে, সময়ে ক্ষয় হয়েছে অনেক কিছু, কিন্তু অক্ষুণ্ণ রয়েছে প্রথা ও আবেগ।
ঐতিহ্যের বিশেষ রীতি:-
সপ্তমীর দিন পুনর্ভবা নদী থেকে জল ভরে আনা হয়। সেই সময় শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে শুরু হয় পুজো। পুরো আয়োজন ও ভোগ রান্নার দায়িত্ব পালন করেন উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মৈথিলী ব্রাহ্মণরা। দশমীর দিন পুনর্ভবা নদীতে বিসর্জন হয় প্রতিমার।
সামাজিক মিলনমেলা:-
এই পুজো শুধুমাত্র আচার নয়, মানুষের মিলনমেলাও বটে। চারদিন ধরে চলে পাত পেড়ে ভোজন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। একসময় সীমান্তের ওপার থেকেও আসতেন অনেকে। এখন পরিস্থিতি বদলালেও স্থানীয় মানুষের টান কিন্তু কমেনি।
এ বছরও জমিদার বাড়ি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পুজো উপলক্ষে। প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে জোর কদমে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। অপেক্ষায় আছেন তিলাসনের মানুষ—শুরু হোক ২২৫ বছরের সেই প্রাচীন ঐতিহ্যের মহাউৎসব।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


