- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- সহপাঠী ধর্ষক! দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ
সহপাঠী ধর্ষক! দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ
Durgapur rape case: দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। চার্জশিটে অভিযুক্ত তিন জন। রয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠীর নামও।

দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে চার্জশিট পেশ
দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। চার্জশিটে অভিযুক্ত তিন জন। রয়েছে নির্যাতিতার সহপাঠীর নামও। চার্জশিটে বলা হয়েছে ধর্ষক সহপাঠী। বাকিদের বিরুদ্ধে চুরি ,ডাকাতি ,ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সহপাঠী ধর্ষক!
চার্জশিটে সহপাঠীর বিরুদ্ধেই মূলত ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই সহপাঠীর সঙ্গেই নির্যাতিতা ঘটনার রাতে হোস্টেল থেকে বেরিয়েছিল। সহপাঠীর সঙ্গেই রাতে হোস্টেলে ফিরেছিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সহপাঠী বেপাত্তা হয়ে যায়।
বাকি অভিযুক্ত
দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে বাকি অভিযুক্ত হল শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিক। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই আর ডাকাতির অভিযোগ করা হয়েছে। চার্জশিটে রয়েছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে দুই অভিযুক্ত আদালতে গোপন জবানবন্দিতে যা বলেছিল তা তদন্তের সঙ্গে মিলে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে
চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছিল দুই অভিযুক্ত ধর্ষণের ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে নির্যাতিতার মোবাইলফোন-স একাধিক জিনিস চুরি করে। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে দুই অভিযুক্ত এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হতে পারে।
চার্জশিটে অভিশপ্ত রাতের উল্লেখ
ঘটনার দিন রাতে জঙ্গলে কী কী হয়েছিল তারও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলি 'ফিঙ্গারিং' করেছিল। যা ধর্ষণের সামিল। অন্যদিকে শেখ ফিরদৌস ধর্ষণ করেছিল। বাকি দুই অভিযুক্ত অপু বাউরি ও শেখ নাসিরউদ্দিন ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
১৮টি ধারায় অভিযোগ
বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে। একজন ধর্ষক। বাকিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ, চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি-সহ ১৮টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী এই কেসের ট্রায়াল ২ সামের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দ্রুত মামলার মিমাংশা করা হবে।

