পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সোমবার তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁর বাসভবন থেকে SSC (সহকারী শিক্ষক) নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালানোর সময় গ্রেফতার করা হয় বলে ED কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তল্লাশির জন্য ইডি অফিসাররা যখন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে যাচ্ছিল সেই খবর জানতে পেরে জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়ির দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন বলে কর্মকর্তারা জানান, এবং "তিনি তার মোবাইল ফোনটি নর্দমায় ফেলে দেন যা ED দল উদ্ধার করে।" জীবনকৃষ্ণ সাহা আগেও মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। এবার তিনি ফোনটি নর্দমায় ফেলে দেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ফোনটির কী অবস্থা তা খতিয়ে দেখছে ইডির আধিকারিকরা।

জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে নয়, তাঁর আত্মীয়স্বজন এবং সহযোগীদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ED কর্মকর্তারা ANI কে জানিয়েছেন যে সাহাকে একটি বিশেষ আদালতে হাজির করা হবে এবং সংস্থাটি মামলার আরও তদন্তের জন্য তাঁর হেফাজত চাইবে।

কর্মকর্তাদের মতে, বিরভূম জেলার এক ব্যক্তির দ্বারা অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পর ED দল সাহার বাসভবনে তল্লাশি চালায়। এই ব্যক্তি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বিরভূমের ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়েই ED দল সাহার বাসভবনে তল্লাশি চালায়। এর আগে, ED কর্মকর্তারা অভিযোগের তদন্তে সাহার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।

২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৭ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তথ্য লোপাটের জন্য তিনি নিজের দাবি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সেই ফোনও উদ্ধার করে ইডি। এই ঘটনার প্রায় ১৩ মাস পরে অর্থাৎ চলতি বছর মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ সাহা। জামিন পাওয়ার তিন মাস পরে ফের গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কিন্তু ফের নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে সক্রিয় হয়েছে ইডি।