Election Commission of India: নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত চার অফিসারকে সাসপেন্ডও করেছে কমিশন। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে টানাপড়েন চলছে রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। 

Election Commission of India: কড়া অবস্থান নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লীতে তলব করল তারা। শুধু তাই নয়, রীতিমতো ডেডলাইন দিয়ে বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে, তাঁকে কমিশনের সদর দফতর হাজির থাকতে বলা হয়েছে। 

সেইসঙ্গে, নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত চার অফিসারকে সাসপেন্ডও করেছে কমিশন। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে টানাপড়েন চলছে রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। এবার সেই পরিস্থিতির মধ্যেই মনোজ পন্থকে দিল্লীতে তলব, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালের বিমানেই নাকি দিল্লী উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

বিষয়টা ঠিক কী?

প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে বেনিয়মের জেরে রাজ্যের চারজন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ করার কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের চারজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে দুজন আবার ইআরও এবং বাকি দু’জন এইআরও। 

তাছাড়া বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও একটি এফআইআর দায়ের করতে বলেছে কমিশন। প্রথমে ৫ অগাস্ট রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরে ৮ অগাস্ট ফের একটি চিঠি এসে পৌঁছয়। দ্বিতীয় চিঠিতে আবার রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলে নির্বাচন কমিশন। সেইমতোই সোমবার, ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

সোমবার কমিশনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিব জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক তথা এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে আপাতত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বাকিদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।

কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব?

নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো সেই চিঠিতে মুখ্যসচিব লেখেন, সরকারি আধিকারিকদের কর্মক্ষেত্রে বিভিন্নরকমের দায়িত্ব পালন করতে হয়। তার উপর নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বও এসে যায়। যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হয়। এমতাবস্থায় অনেকক্ষেত্রেই বিশ্বাসের উপর ভর করে অধস্তন কর্মীদের উপর কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে সেই কাজ করে আসছেন। তাই কিছুক্ষেত্রে সঠিক অনুসন্ধান ছাড়াই কোনওরকম সিদ্ধান্ত নিলে, তা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হয়ে যেতে পারে। অতএব, এমন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র সেই আধিকারিকদের ক্ষেত্রেই নয়, সার্বিকভাবে সরকারি আধিকারিকরাই হতাশ হতে পারেন। তাই প্রাথমিক একটি পদক্ষেপ হিসেবে, একজন এইআরও এবং এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।