সংক্ষিপ্ত

পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড গান্ধীনগর অঞ্চলের বাসিন্দা জয়দেব চৌধুরী। তার স্ত্রী সাথী চৌধুরীর। তারাই নেশার জন্য নিজেদের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ।

 

মদ খাওয়ার টাকা জোগড়া হয়নি। আর সেই কারণে নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য নিজেদের মাত্র আট মাসের পুত্রসন্তানকে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা ও মা-য়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি সামনে আনে। দিন কয়েক ধরে দম্পতির সন্তানকে দেখতে না পেয়ে তারাই পুলিশের খবর দেয়। তারপরই তৎপর হয় থানা। তবে কোথায় কত টাকার বিনিময় দম্পতি নিজের দুধের শিশুকে বিক্রি করেছে তা এখনও উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। বাবা মায়ের সঙ্গে নিখোঁজ শুশির ঠাকুরদাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পানিহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড গান্ধীনগর অঞ্চলের বাসিন্দা জয়দেব চৌধুরী। তার স্ত্রী সাথী চৌধুরীর। তারাই নিখোঁজ শিশুটির বাবা ও মা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন দম্পতি প্রায়ই মদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত। পরিবারের কহল হত নেশার টাকা নিয়ে। তাদের বাড়িতে নিত্যদিনও প্রচুর অজ্ঞাতপরিচয় ছেলে মেয়ের আশা যাওয়া ছিল। স্থানীয়দের কথায় চৌধুরী বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্মও চলত। দিন কয়েক ধরেই জয়দেব ও সাথীর মাত্র ৮ মাসের পুত্র সন্তানকে প্রতিবেশীরা দেখতে পায়নি। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধে। একাধিকবার জিজ্ঞাসা করতেও কোনও সদুত্তর পায়নি প্রতিবেশীরা। তাতেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারাই স্থানীয় কাউন্সিলেরকে সমস্ত বিষয়টি জানায়।

কাউন্সিলর পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জয়দেব ও সাথীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতেই সামনে আসে তারা তাদের সন্তানকে বেচে দিয়েছে। হাতে নেশা করার টাকা ছিল না। আর সেই কারণে তারা সন্তান বিক্রি করে দিয়েছিল। শনিবার রাতেই পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে জয়দেব ও সাথীকে এই কাজে সাহায্য করেছিল নিখোঁজ শিশুর ঠাকুরদা কানাই চৌধুরী। তাকেও গ্রেফতার করেছে পানিহাটি থানার পুলিশ।

সূত্রের খবর তিন জনকেই দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তবে এখনও তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয় কত টাকার বিনিময় আর কাদের কাছে দুধের শিশুকে বিক্রি করেছে বাবা ও মা। তদন্তকারীরা শিশু পাচারচক্রের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। শিশু পাচারচক্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান তদন্তকারীরে।