সংক্ষিপ্ত
সরকারি বাসের যাত্রীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক। কারণ এদিন সকালেই মালদা বাস ডিপোর একটি বাসে মাঝ রাস্তায় আগুন লেগে যায়। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও আতঙ্ক রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসে আগুন লাগার ঘটনায় প্রশ্নে মুখে পড়েছে রক্ষণাবেক্ষণ। কারণ শুক্রবার সকালে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল একটি সরকারি বাস।কিন্তু মাঝ রাস্তায় ওই সরকারি বাসে আগুন লাগে। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের কথায় অল্পের জন্য তাঁরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তারপর থেকেই সরকারি বাসের পরিষেবা আর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যাত্রীরা।
মালদহের চাঁচল থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে শুক্রবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার টুঙ্গি দীঘি(ধুমা দীঘি) এলাকায় শর্ট সার্কিটে ওই বাসে আগুন লাগে বলে চাঁচল বাস ডিপোর কর্মীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় বাসের চালক ও যাত্রীরা উদ্ধার পায়। বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল বাসের ভেতর থাকা যাত্রীরা রীতিমত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। এই খবর জানাজানি হতেই মালদার চাঁচল বাস ডিপোতে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বাসের পরিবর্তে ট্রেনে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন। সরকারি বাস পরিষেবা চালু থাকলেও আগুনের আতঙ্কে অনেকেই সরকারি পরিষেবা নিতে চাইছেন না। বাধ্য হয়ে তারা বেসরকারি বাসে উঠছেন। এদিন চাঁচল ডিপোতে বাস পরিষেবা চালু থাকলেও যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। সরকারি বাসগুলি ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন নিত্যযাত্রীরা।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসে থাকা এক বাসযাত্রী অভিজিৎ দাস বলেন, 'চাঁচল থেকে বাসে উঠে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম।হঠাৎই উত্তর দিনাজপুরের টুঙ্গি দিঘী এলাকায় বাসের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে তড়িঘড়ি করে বাস থেকে নেমে যাই। বাস থেকে পথ যাত্রী নামতে গিয়ে কারো হাতে এবং পায়ে চট আসে। অল্পের জন্য বাস যাত্রীরা রক্ষা পায়।'
সরকারি বাসের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সরাসরি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহন দপ্তরের চাঁচল বাস ডিপোর উদাসীনতাকে দায় করেছেন বাসযাত্রীরা। চাঁচল ডিপোর সরকারি বাসের নিত্যযাত্রী পারভেজ নুর বলেন,ডিপোর বাসগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে এই দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগে চাঁচল ডিপো থেকে একটি বাস চালকহীন অবস্থায় জাতীয় সড়কে উঠে পড়ে।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার সেই সরকারি বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চাঁচল ডিপোর পক্ষকে দায়ী করবো। ঠিকঠাক ভাবে বাস গুলোর রক্ষনাবেক্ষণ করলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না বলে দাবি।
যদিও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চাঁচল বাস ডিপোর ইনচার্জ থাকায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।ডিপোর এক কর্মী ফারুক হোসেন জানান,শর্ট শার্কিটের জেরেই আজকের এই ঘটনা। তিনি অবশ্য বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।যাত্রী নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি।
আরও পড়ুনঃ
ধর্ষণ রুখতে তালিবানি নিদান, প্রকাশ্যে জনতার সামনে ফাঁসিতে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর
সেনাবাহিনীর জমিতে কেলেঙ্কারি, কলকাতা ও সল্টলেকে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান ইডিরট