কুলতলি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বাড়িতেই আত্মঘাতী হল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র পল্লব নস্কর (১০)। সোমবার প্রতিদিনের মতোই সে সকালে স্কুলে যায় এবং বিকেলে বাড়ি ফিরে আসে
কুলতলি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বাড়িতেই আত্মঘাতী হল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র পল্লব নস্কর (১০)। সোমবার প্রতিদিনের মতোই সে সকালে স্কুলে যায় এবং বিকেলে বাড়ি ফিরে আসে। মায়ের কাছে খাবার চেয়ে খেয়ে নেয় পল্লব। তারপর একা একাই খেলতে থাকে। এসময় তার মা পাশের কাকার বাড়িতে গিয়েছিলেন কাজে। কাকার বছর সাতেকের মেয়েটি খেলছিল তার সঙ্গেই। তখনই হঠাৎ রান্নাঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দাদাকে দেখতে পায় সে।
ছোট্ট মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনে মা ও কাকিমা ছুটে আসেন। ঘরে ঢুকেই দেখেন, চালের বাঁশে দড়ি দিয়ে ঝুলছে পল্লব। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে আত্মহত্য়া করেছে তা স্পষ্ট নয়। অনেকেই মনে করছেন দঁড়ি নিয়ে খেলতে খেলতে কোনও কারণে গলায় ফাঁস লেগে গিয়েছিল ছেলেটির। সেই কারণেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়়ে।
মৃত পল্লব এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। বাবার সঙ্গে মিলে ভিডিও বানিয়ে নিয়মিত সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করত সে। পল্লবের নামে থাকা একটি ফেসবুক পেজে রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ফলোয়ার। খেলার ছলে তৈরি হওয়া এই ভিডিওর জন্যই এলাকায় ও অনলাইনে তার জনপ্রিয়তা ছিল যথেষ্ট। হঠাৎ করে কেন এই আত্মঘাতী পদক্ষেপ নিল সে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবার থেকে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনার ইঙ্গিত মেলেনি।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷ আজ ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হবে ৷ প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। কেন এই কিশোর এমন চরম পদক্ষেপ নিল, সেই কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পল্লবের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার-পরিজন ও প্রতিবেশীরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, হাসিখুশি ও মিশুকে পল্লব এমন কিছু করতে পারে, তা কেউ কোনওদিন ভাবতেই পারেনি।
