সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল বনাম বিজেপির মারামারি থেকে শুরু করে যেকোনও দলের গোষ্ঠীকোন্দল, সমস্ত অশান্তির বিরুদ্ধে নিজের মত পোষণ করলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। 

পশ্চিমবঙ্গে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার’-র দুর্নীতি প্রসঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে প্রকাশ্যেই নিজের বিরোধী মতামত জানিয়ে দিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দেব। পাশাপাশি, বিজেপি প্রচারক তথা অপর এক প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্যের কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক বন্ধুত্বও সামনে আনলেন ঘাটালের সাংসদ।

আবাস-দুর্নীতি সম্পর্কে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দাঁড়িয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ দেব, “যেটা ভুল, সেটা ভুল। আমার দল করলেও সেটা ভুল।” আবাস-তালিকায় দুর্নীতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে দেব বলেছেন, “যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁরা অনেকে পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ, যাঁদের মাথায় ছাদ নেই, তাঁরা পাচ্ছেন না! এটা তো ভুল।”

নিজের ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় বিরোধী নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেব। এই ছবির জন্য তাঁদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্বও জোরদার হয়েছে। এই বিষয়টি জনসমক্ষে এনে শাসকদলের নেতা বলেন, “আমি আর মিঠুনদা যদি বাবা-ছেলের মতো থাকতে পারি, তা হলে সাধারণ মানুষ বা গ্রামের মানুষেরা (তৃণমূল বনাম বিজেপি) কেন লড়াই করছেন!” তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি মানে তো মানুষের পাশে থাকা। আপদে-বিপদে পাশে থাকা। রাজনীতির জন্য মারপিট, রক্তারক্তি নয়। আমি ওই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।”


 

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সম্পর্কেও বিরোধী মত পোষণ করেন অভিনেতা দেব বা দীপক অধিকারী। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “একটা দল করলে, অপর আরেকটা দল আমার শত্রু, এমনটা কখনওই ভাবা উচিত নয়। আমি অন্য দলকে শত্রু ভাবতে রাজি নই।”

পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি সাম্প্রতিক বিতর্কিত ঘটনা হল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এ ঢিল ছোড়া। এই প্রসঙ্গেও সোমবার মন্তব্য করেছেন ঘাটালের সাংসদ দেব। তিনি বলেন, “শিক্ষার অভাবেই ট্রেনে ঢিল মারা হয় কিংবা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটা মোদী বা দিদির ট্রেন নয়। ওই ট্রেনে তাঁরা যাবেন না। ট্রেনটা কোনও ‘রাজনৈতিক বাহন’ নয়। এটা সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য।”

আরও পড়ুন-
‘কোথায় কী বলতে হয় জানেন না’, জি২০ সম্মেলনে মমতার মুখে বামেদের তিরস্কার শুনে ক্ষুব্ধ বিকাশরঞ্জন
বাণিজ্যিক গাড়িতে ভিএলটিডি যন্ত্র বসাতেও ‘কাটমানি খাবে’ রাজ্য সরকার: চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর