Banarhat Crime News: ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে আসা নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ চিখকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তপ্ত বানারহাট। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Banarhat Crime News: শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট থানার অন্তর্গত দুরামারি বাজারে। জানা গিয়েছে, এদিন দুরামারি বাজারের এক হাতুড়ে ডাক্তার প্রাণকৃষ্ণ রায় (পি.কে. রায়)-এর দোকানে চিকিৎসার জন্য আসে এক ১৪ বছরের কিশোরী। অভিযোগ, চিকিৎসার সময় ওই ডাক্তার কিশোরীর আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন। কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারেন।
এরপর স্থানীয়রা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি কোনও সদুত্তর না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাঁর ফার্মেসিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে বানারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে:-
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিশোরীর পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে—এই ঘটনার যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে—গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্যপরিসেবা পর্যাপ্ত না থাকায় স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন। দুরামারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায়, ওই হাতুড়ে ডাক্তারই স্থানীয়দের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছিলেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেখানে বারবার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির দাবি করছেন, সেখানে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার এই বেহাল দশা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। যদি এই পরিস্থিতি না বদলায়, তাহলে গ্রামীণ মহিলারা ও কিশোরীরা বারবার এই ধরনের অপমানের শিকার হবেন—এই আশঙ্কাই করছেন স্থানীয়রা। তবে অন্যদিকে, অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার প্রাণকৃষ্ণ রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, মেমারির বিবাহিতা গৃহবধূর পরকীয়া প্রেম, শান্তিনিকেতনে উদ্ধার চাঞ্চল্য মেমারি শহরে। বর্ধমান জেলার মেমারি শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এক বিবাহিতা গৃহবধূর নিখোঁজ ঘটনায়। জানা গেছে, দুই কন্যা সন্তানের জননী ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর উভয়ে গোপনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। সূত্র ধরে অবশেষে শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন তাঁর মা-বাবা। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল যুবকটিও। পুলিশ দু’জনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সমাজের নানা স্তরে চলছে আলোচনা। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত, উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


