সংক্ষিপ্ত

এছাড়া জলপাইগুড়ির অসম মোড়ের মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতেও বেশ কিছু সময় কাটাবেন তিনি। এই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে ব্যাঙ্ক এবং মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ চত্ত্বর।

শুক্রবারই জলপাইগুড়ি সফরে রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। কর্মসূত্রে কিছুদিন জলপাইগুড়িতে কেটেছিল রাজ্যপালের। এবার সেই স্মৃতির টানে পুরোনো কর্মস্থলে ফিরছেন তিনি। রাজ্যপালের সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব জলপাইগুড়িতে। যদিও খুব বেশি সময় সেখানে কাটাতে পারবে না তিনি। তবুও এই সফরে বেশ কিছু গন্তব্যের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডের স্টেট ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। এছাড়া জলপাইগুড়ির অসম মোড়ের মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতেও বেশ কিছু সময় কাটাবেন তিনি। এই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে ব্যাঙ্ক এবং মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ চত্ত্বর।

অন্যদিকে রাজ্যপা লের সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যপালের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছেন। ১৯৭৭ সালে জলপাইগুড়ির স্টেট ব্যাঙ্কের ক্লাব রোডের প্রধান শাখায় প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে বেশ কয়েক মাস কর্মরত ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। জলপাইগুড়ি স্টেট ব্যাঙ্কের পুরানো ইংরেজ আমলের লাল বাড়ির এর এক কোনার ঘর ছিলো তার কর্মক্ষেত্র। বর্তমানে বাড়িটি ব্যাঙ্কের রিটেল এ্যাসেট ক্রেডিট সেন্টার। তবে এখন সেই বাড়ির চেহারা একেবারে বদলে গিয়েছে। রাজ্যপালের সফরের আগে সেযেঁ উঠেছে এই বাড়িটিও। জলপাইগুড়িতে রাজ্যপালের সফর প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানালেন,' কোথায় কোথায় আসবেন সেটা এখুনি বলা যাবে না। তবে জেট ক্যাটাগরি নিরাপত্তা সিআরপিএফ থাকছে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করছি। জেলায় দুই ও তিন ফেব্রুয়ারি আসবেন তিনি।'

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারিই রাজভবনে সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। বাংলার প্রতি বাংলা ভাষার প্রতি নিজের অনুরাগের কথা বারবারই জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয় নিজেকে 'বাংলার দত্তক পুত্র' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বড়দিনেও বাংলায় বই লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল বলেছিলেন,'এই বাংলা সোনার বাংলা। এখানে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির বিস্তর চর্চা হয়।' শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প ও সেই গল্পের মুখ্য চরিত্র 'মিনি' কী ভাবে তাঁর মনে দাগ কেটেছে সে অনুভূতিও তিনি ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, 'বাংলার এই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই পরিচিত। আমাকে এই বাংলা বহু কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। ' বাংলা ভাষার প্রতি শুধু নিজের নয় পাশাপাশি নিজের পরিবারের বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগের কথাও জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন। চেহারায় মালয়ালি হলেও তিনি মন থেকে বাঙালি। তাঁর বাবা সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও,'বাংলা আজ যা ভাবে গোটা দেশ সেটাই ভাবে। আগামী দিনে এই বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।'

আরও পড়ুন - 

কেন্দ্রীয় বাজেটের দিন নরেন্দ্র মোদী সরকারের পতন হতে যাচ্ছিল, বিস্ফোরক মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

'মাছের তেলে মাছ ভাজা হয়েছে', তথ্য দিয়ে নতুন কর কাঠামো বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ফের জোট আবহ রাজ্য রাজনীতিতে, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সমর্থন চেয়ে চিঠি অধিরের