সংক্ষিপ্ত

ব্যাকটেরিয়াটি আদপে উপকারী। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াটির অবদান যুগান্তকারী হতে চলেছে বলেই মত বিজ্ঞানীদের। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও গবেষকরা, নয়া প্রজাতির এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নয়া আবিষ্কার। কৃষিকাজে সাহায্য করা এক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করলেন তাঁরা। এই ব্যাকটেরিয়া চাষের কাজে অত্যন্ত উপকারী বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞানীদের তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক বোম্বা দাম ও পাঁচ সহকারী গবেষকের পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই আবিষ্কার সামনে এল। উচ্ছ্বসিত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

জানা যাচ্ছে, ব্যাকটেরিয়াটি আদপে উপকারী। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াটির অবদান যুগান্তকারী হতে চলেছে বলেই মত বিজ্ঞানীদের। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও গবেষকরা, নয়া প্রজাতির এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন। নয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার নাম প্যান্টোইয়া টেগোরি।‌ এই ব্যাকটেরিয়ার নাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকায় সন্ধান চালান গবেষকরা। নয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মেলে। ওই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এনপিকের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করছেন বলে জানতে পারেন তারা। চলতি মাসে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজিতে বিষয়টি প্রকাশিত হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট সংস্থা ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয়।

এদিকে, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম এই তিনের অনুপাতকে সংক্ষেপে এনপিকে বলা হয়, যা কৃষিকাজে অপরিহার্য। মাটি থেকে এগুলো সহজে পাওয়া যায় না। ফলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ঘাটতি মেটানো হয়। পরিবেশের জন্য জৈব সার ব্যবহারের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বারবার কৃষি বিজ্ঞানীরা বলেন। সেই উদ্দেশ্যেই নতুন ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ শুরু করেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক বোম্বা দাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাঁচ গবেষক রাজু বিশ্বাস, অরিজিৎ মিশ্র, সন্দীপ ঘোষ, অভিনব চক্রবর্তী ও পূজা মুখোপাধ্যায়।

ইদানীংকালে মাটির দূষণ এত বেড়েছে যে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ মাটিতে মিশছে ফলে মাটি দূষিত হচ্ছে। উপকারী অণুজীবরা বিলুপ্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গেই অত্যধিক মাত্রায় রাসায়নিক সারের প্রয়োগ হচ্ছে ফলন বাড়াতে যা আরও সাঙ্ঘাতিক হয়ে উঠছে মানুষের জন্য। নানারকম রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তাই এখন কৃষিকাজে জৈব প্রক্রিয়ার প্রয়োগ বাড়াতে বলা হচ্ছে। কীভাবে জৈব সার প্রয়োগ করা যায় সেই চেষ্টাই করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এমনই নানা গবেষণা ও অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওই উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ পান বিশ্বভারতীর গবেষকরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।