সংক্ষিপ্ত

তরুণজ্যোতি তিওয়ারি নিজের টুইটে অমিত শাহকে ট্যাগ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে তাঁরা জানতেনই না অমিত শাহ ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছেন।

এতদিন বিতর্ক চলছিল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ না করা নিয়ে। হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ তো হল। কিন্তু, সেই তালিকায় বহু পরীক্ষার্থীর নাম না থাকায় দানা বাধে আরেক বিতর্ক। আর ২ দিন পরই লক্ষাধিক নামের তালিকার মধ্যে রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের নামে পরীক্ষার্থীর খোঁজ মেলায় বিতর্কে যেন ঘি পড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম! কীভাবে এরকম ভুল হয়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও! এমনকী নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী। আর এদের প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর তাক লাগানো।

২০১৪ টেটের জট যেন কাটতেই চাইছে না। আদালতের নির্দেশে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। ওই তালিকায় নাম রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার জনের নাম। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার পর্ষদ ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করেই সমালোচনার মুখে পড়ে। ১৮৩২ পাতার তালিকাতে রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর থাকলেও বহু পরীক্ষার্থীর নামও বাদ গেছে।

এই বিষয়ে একদল আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে এই নামগুলি তালিকায় থাকা অস্বাভাবিক বলে অভিযোগ করেন। এই নামগুলি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সাথে সম্পর্কিত কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। আইনজীবীদের মতে, নামগুলি ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের (WBBPE) শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষার (TET) ২০১৪-এর মেধা তালিকায় ইচ্ছাকৃতভাবে বসানো হয়েছে।

 

এই গোটা ঘটনা নিয়েই সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির একটি টুইটকে হাতিয়ার করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি নিজের টুইটে অমিত শাহকে ট্যাগ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে তাঁরা জানতেনই না অমিত শাহ ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছেন। এমনকী বঙ্গ বিজেপি জানত না দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীও ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার সফল প্রার্থী।

এর পরেই নিজের টুইটে পর্ষদ প্রকাশিত তথ্য ও তালিকা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি। সেই টুইটকে হাতিয়ার করে মুখ খোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সুকান্ত মজুমদার বলেন এটাই এই রাজ্যের শিক্ষার হাল ও অবস্থা। দুর্নীতি যেখানে সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আর পড়াশোনা পিছিয়ে গিয়েছে। সুকান্ত বলেন টেট পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে আর কত খেলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন গোটা ঘটনা রীতিমত দুর্ভাগ্যজনক।

আরও পড়ুন

টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা-অভিষেক-শুভেন্দু-সুজন! কটাক্ষের ঝড় সুকান্ত মজুমদারের টুইটে

মুরগীর মাংসের দাম ১৫০ টাকা করুন, এত দাম হলে লোকে খাবে কী করে? নবান্নের বৈঠকে সোজা নির্দেশ মমতার