Bankura School Job: অন্যান্য দিনের মতই শুরু হয়েছে স্কুল। নিয়ম মেনেই চলছে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। রয়েছে চক-ডাস্টার, চেয়ার-টেবিল, ব্ল্যাক বোর্ডও। কিন্তু ক্লাসরূমে দেখা নেই শিক্ষকের। ফাঁকা পড়ে রয়েছে শিক্ষকের চেয়ার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার
Bankura School Job: অন্যান্য দিনের মতই শুরু হয়েছে স্কুল। নিয়ম মেনেই চলছে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। রয়েছে চক-ডাস্টার, চেয়ার-টেবিল, ব্ল্যাক বোর্ডও। কিন্তু ক্লাসরূমে দেখা নেই শিক্ষকের। ফাঁকা পড়ে রয়েছে শিক্ষকের চেয়ার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা খুঁইয়েছেন স্কুলের চাকরি। রাজ্যের বেশির ভাগ জেলার স্কুলে এখন এই চিত্রটাই খুব স্বাভাবিক।
কোথাও একসঙ্গে স্কুলের চাকরি চলে গিয়েছে একাধিক শিক্ষকের। কোথাও আবার স্কুলের চাকরি চলে গিয়েছে প্রধান শিক্ষকের। তার ওপরে এখন স্কুলে চলছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষা। ফলে অভিভাবকহীন স্কুলে আতান্তরে পড়েছেন সহ শিক্ষিকারা। এমনই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এসএন পাঁজা হাইস্কুলে। ২০১৬-র প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি চলে গিয়েছে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। চাকরি চলে গিয়েছে ওই স্কুলের আরও এক গ্রুপ-ডি কর্মীর।
মাত্র ১০ জন শিক্ষক নিয়ে চলা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি স্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মীরও চাকরি চলে যাওয়ায় এখন পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া থেকে শুরু করে টিফিনের ঘন্টা বাজানো সব কাজই করতে হচ্ছে স্কুলের বাকি শিক্ষকদের। জানা গিয়েছে, ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এসএন পাঁজা হাইস্কুলে মাত্র ১০ জন শিক্ষক। এই বিষয়ে সহকারি শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। তিনি মাঝেমধ্যেই ছাত্রদের ক্লাস নিতেন। এখন প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে স্কুল। সহকারী শিক্ষকরা আরও জানান বিদ্যালয় এখন একপ্রকার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কথায়, ঘরের অভিভাবক না থাকলে যেমন বাচ্চারা অনাথ হয়ে যায়। একইভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষকমন্ডলী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ে। প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের গঠন পাঠন থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একেতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নেই। তার ওপর প্রধান শিক্ষক চলে গেলে সমস্যা। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি কর্মীরও চাকরি চলে গিয়েছে। তাই এখন অন্যান্য শিক্ষকরা ঘণ্টা বাজাবেন নাকি লেখাপড়া করাবেন? সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।


