সংক্ষিপ্ত
দুই ট্রাক ভর্তি ইলিশ এল বাংলাদেশ থেকে। কত দামে বিক্রি হবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এরাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা
পুজোর আগে এরাজ্যে ঢুকতে শুরু করল বাংলাদেশের ইলিশ মাছ। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করল ইলিশ বোঝাই ট্রাক। এদিন দুপুরে বাংলাদেশের রূপালি শস্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ট্রাক দুটি। যা পাইকারি বাজার থেকে পৌঁছে যাবে রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে। বাংলাদশে থেকে ইলিশ আসার পরই ক্রেতাদের একটাই প্রশ্ন - কতটা কম দামে পাওয়া যাবে ইলিশ।
যদিও কত দামে বিক্রি হবে সে সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এরাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে যোগান কম থাকায় এবার চড়া হতে পারে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের দাম। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, 'এবছর গতবারের থেকেও কম ইলিশ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু যা খবর পাচ্ছি তাতে সেই পরিমাণ মাছও এবছর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কারণ, বাংলাদেশের নদীতেও সেভাবে মাছ ধরা পড়ছে না। ফলে অনুমতি থাকলেও সেই পরিমাণ ইলিশ সে দেশের ব্যবসায়ীরা পাঠাতে পারবে কিনা সে সম্পর্কে আমরা খুবই সন্দিহান।'
ভারতের ফিস ইম্পোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন- জানিয়েছে, উৎসবের জন্য প্রত্যেক বছরই ১০ সেপ্টেম্বররের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ আসে। কিন্তু চলতি বছর এখনও বাংলাদেশ ইলিশ পাঠায়নি ভারতে। উৎসবের মরশুমে রফতানি বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এবার আচমকাই সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার বাংলাদেশের অ বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে. গুর্গাপুজোর আগে তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রক আরও বলেছে, ভারতের যেসব মৎস্যব্যবসয়ীরা আগে আবেদন করেছিলেন এবার তাদের আবারও নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা নতুন করে আবেদন করতে চান তাদের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর এই মুর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রায় ৩ হাজার টন ইলিশ পাঠান হচ্ছে। যার অর্থ দুর্গাপুজোয় বাঙালির পাতে পড়বে প্রিয় ইলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।