সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024) মিটতেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল। আগামী ২৩ জুন, পশ্চিমবঙ্গে আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল।
লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024) মিটতেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল। আগামী ২৩ জুন, পশ্চিমবঙ্গে আসছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল।
লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই ফের রাজ্যের বুকে আনাগোনা শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) প্রতিনিধিদলের। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৩ জুন কলকাতায় আসছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক বিশেষ প্রতিনিধিদল। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ অর্থ কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে জানতেই তারা আসবেন এই রাজ্যে।
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, জঙ্গলমহল এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অর্থের খরচের হিসেব নিতেই এই বিশেষ প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট জমানার (Left Front Government) শেষ দিকে জঙ্গলমহলে মাওবাদী দমনের জন্য শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন গ্রিন হান্ট’ (Operation Green hunt)। সেই অভিযান শুরুর সময় দিল্লীতে তখন কংগ্রেস সরকার (Congress Government)। আর সেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী তখন মনমোহন সিং (Manmohan Singh)।
তখন থেকেই এই অর্থ বরাদ্দ শুরু হয়। বামফ্রন্ট জমানার পর, গত ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে মাওবাদী উপদ্রব একেবারেই কমে গেছে। তা সত্ত্বেও যৌথবাহিনীর একটি অংশ রয়ে গেছে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলায়। যে কারণে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এখনও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে হয়।
যদিও শুরুর দিকে যে পরিমাণ বরাদ্দ এই খাতে ছিল, তার তুলনায় বর্তমানে সেই বরাদ্দের হার অনেকটাই কমেছে। এবার সেই বরাদ্দ অর্থ কোন পথে এবং কীভাবে খরচ হয়েছে, তা জানতেই প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
শোনা যাচ্ছে, আগামী ২৩ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই বিশেষ প্রতিনিধিদল। প্রশাসনিক একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই প্রতিনিধিদলটি পাঠাচ্ছে খরচের সমীক্ষা করার জন্য। অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসনের একটি অংশ দাবি করছে, ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’, বরাদ্দ অর্থের খরচ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবং নথি যথাসময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবুও নিজেরা একবার পরখ করে নিতে এই কেন্দ্রীয় দলটি সম্ভবত আসছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়েই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি (BJP) সরকার। তাহলে কি পক্ষান্তরে রাজ্যকে চাপে রাখার কৌশল শুরু? উত্তর দেবে সময়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।