সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফিজিওথেরাপি চলছে। আপাতত ১৫ দিন চিকিৎসকরা তাঁকে সাবধানে থাকতে বলেছেন। নিক্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও বাড়িতে রয়েছেন। কালীঘাটের বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। বুধ ও বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও নবান্নে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর চিকিৎসকরা তাঁকে আপাতত ১৫ দিনের বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। সঙ্গে অত্যান্ত সাবধানে থাকারও পরামর্শ দিয়েছেব। বুধ ও বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে এসএসকেএন-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র তাঁরা দিয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় মমতার বা়ড়ি থেকেই ফিজিওথেরাপিও চলছে। আপাতত ফিজিও থেরাপিও চলবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাঁটুতে পরার জন্য নিক্যাপ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি মমতাকে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে নিক্যাপ পরে থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকা।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারসভায় যাওয়ার পথেই বিপত্তি। চপার দুর্ঘটনায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে আকাশ কালো করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে যে দিকে আকাশ পরিষ্কার, সে দিকে উড়তে শুরু করেন। তলায় বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল থাকায় তিনি তখনই কপ্টার নামাতে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেবকের এয়ারবেসটি দেখতে পান পাইলট। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন। বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর সফর সঙ্গীরা বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় ফেরেন। কলকাতায় তাঁকে চিকিৎসা করানো হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর কোমরে ও পায়ে ভালোই চোট পেয়েছেন মমতা। এসএসকেএমে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
হাসপাতাল সূত্রের খবর ২০২১ সালের মত গুরুতর চোট না পেলেও হেলিকপ্টার বিপত্তিতিতে তিনি বাঁ দিকে ব্য়াপক চোট পেয়েছেন। এমআরআই, সিটিস্ক্যান, এক্সরে করা হয়েছে। তারপরই মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডিরেক্টর জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করাবেন। তবে এজাতীয় চোটের চিকিৎসার থেকে যত্নের বেশি প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিন কলকাতা বাহিম বন্দর থেকে তাঁকে তড়িঘ়ড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ঢোকার সময় তিনি হুইল চেয়ার নেননি। কিন্তু তাঁর চোট গুরুতর বুঝে চিকিৎসকরা একপ্রকার জোর করেই তাঁকে হুইল চেয়ার দেন। মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছে আপাতত সুস্থ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে। মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পায়ে ও কোমরে চোটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে রয়েছে। হাসপাতালে থাকার প্রস্তাব দিলেও তা তিনি ফিরিয়ে দেন। তবে বাড়িতে বসেই কাজ কর্ম করছেন। সূত্রের খবর নবান্নে থেকে প্রয়োজনী কাজগপত্র নিয়ে সরকারি আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার নিয়ে তৃণমূল শিবিরে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ ভোটের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় মমতা প্রচারে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়েও এখনও সংশয় রয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর পঞ্চায়েত প্রচারে এবার গোটা রাজ্যেই চষে ফেলার কথা ছিল তাঁর। এই অবস্থায় নেত্রীর জায়গা নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ
ইডির অফিসে হাজিরা দিলেন সায়নী ঘোষ, তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল যুবনেত্রী
Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কী? এই বিল পাশ করতে মরিয়া কেন্দ্র পেশ করবে বাদল অধিবেশনে