স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে চলে এল। বাপের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চায়নি। স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল স্বামী।
স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে চলে এল। বাপের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চায়নি। স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল স্বামী। সেখানে মারধরও খেতে হয়। কিন্তু তাতেও মন গলেনি স্বামীর। এই ঘটনার পরই স্বামী স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। কিন্তু কী কারণে স্ত্রী আর স্বামীর ঘর করতে চায় না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর রায় পাড়ার বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মন্ডল। স্ত্রীকে পাওয়ার জন্য ধারনায় বসলেন সাহেবখালি পুলিশ ক্যাম্পের সামনে। স্ত্রীকে ফিরে পেতে ধর্নায় বসলেন স্বামী। স্বীমার অভিযোগ স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে ২০ জুন গিয়েছিল। স্ত্রী সেখানে যাওয়ার পরেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর স্ত্রীকে আটকে রাখে । বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রীকে আসার কথা বললেও স্ত্রী আর স্বামীর বাড়ি ফিরে যায়নি। ধর্নায় বসে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, তিনি ২৫ জুন শ্বশুর বাড়ি গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করে। বড় ভাইরা ভাই গৌতম মন্ডল , চাড়াল খালি স্কুলের শিক্ষক ও বড় শালী মোনালিসা সিনহা , শশুর গৌরাঙ্গ সিনহা সবাই মিলে আটকে রাখে আমার স্ত্রীকে। এই অভিযোগ তিনি করে বলেন, আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সার্টিফিকেট রয়েছে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চাই।
অন্যদিকে স্ত্রী মৈত্রী সিনহা মন্ডল বলেন,' আমার স্বামী আমাকে ভালবাসে না। তাহলে কেন আমি তাকে ভালবাসতে যাব, তার বাবার বাড়ি থাকলে হবে না, আমার বাড়িতে এসে ওকে থাকতে হবে। তবেই আমি তার সঙ্গে সংসার করবো, না হলে আমার সংসার করার কোন ইচ্ছাই নেই।'
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এই সংসারের পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে, না স্বামী স্ত্রীর কারুর বিবাহ বহিভূত সম্পর্ক রয়েছে? যার কারণে এই পরিণতি আজ সংসারে। এই ঘটনায় স্বামী সিদ্ধার্থ মন্ডল হিঙ্গলগঞ্জ থানায় স্ত্রী ও স্ত্রীর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে স্ত্রীকে ফিরে পেতে সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় সিদ্ধার্ত মন্ডলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।


