সংক্ষিপ্ত
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দুর আর্জি, "নন্দীগ্রামে মিনিমাম ৩০ হাজার লিড চাই। কি আমার সম্মান রাখবেন তো? নন্দীগ্রাম মানে শুভেন্দু, শুভেন্দু মানে নন্দীগ্রাম।"
মঙ্গলবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নন্দীগ্রামে নির্বাচনী সভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন। এরই সঙ্গে তিনি বলেন "বিজেপি করলে মিথ্যে কেসে জেলে ভরছে তৃণমূলের পুলিশ। আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে জেল খাটা বিজেপি কর্মীদের সকলকে সংগ্রামী ভাতা দেওয়া হবে।"
যে সব পুলিশ অফিসার বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়েছে তাঁদের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার কথায়, "যে তদন্তকারী অফিসাররা রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন, তাঁদের নাম লিখে রাখলাম। এটা হুঁশিয়ারি নয়, সতর্কবার্তা।"
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দুর আর্জি, "নন্দীগ্রামে মিনিমাম ৩০ হাজার লিড চাই। কি আমার সম্মান রাখবেন তো? নন্দীগ্রাম মানে শুভেন্দু, শুভেন্দু মানে নন্দীগ্রাম।"
এবার শুনে নিন কোন বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বলেন "আমিও খুন হয়ে যেতাম। ২ মে (২০২১), রাত ৯টা। এসডিও অফিসে সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলাম। এত বড় বড়় পাথর। ওই পাথর মাথায় পড়লে কেউ বাঁচে না। বাইরের সব কাঁচ ভেঙে গিয়েছিল। সিআরপিএফের বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল বলে ওই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম। না হলে ওই দিন আমিও শহিদ হয়ে যেতাম!"
অর্থাৎ শুভেন্দুর দাবি এসডিও অফিসে এমএলএ সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে তিনি খুন হয়ে যেতেন। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী সভা থেকে এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত পঞ্চায়েত ভোটে দলের ৫৭ জন কর্মী তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছেন বলে জানিয়ে দেন শুভেন্দু।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।