West Bengal News: পহেলগাঁও-এ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।                              

West Bengal News: পহেলগাঁও-এ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দুই দেশই নিজেদের সামরিক শক্তি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাড়াচ্ছে বলে খবর জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে, যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না (India pakistan Clash)!

এই অবস্থায় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। এখানকার রাফালে স্কোয়াড্রন ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাফালে যুদ্ধবিমানগুলি নিয়মিত উড়ান শুরু করেছে। সব মিলিয়ে ভারত যে কোনও ধরনের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে বলে সামরিক সূত্রে জানা গিয়েছে।

উত্তরবঙ্গের চিকেন নেক (শিলিগুড়ি করিডর) অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। মাত্র ২২ কিমি চওড়া এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে। আন্তর্জাতিক মহলে এটি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, সুযোগ পেলেই চিন এই চিকেন নেক করিডরে আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য সীমান্ত অঞ্চলগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতীয় সেনা, বিএসএফ ও অন্যান্য সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। সামরিক টহলদারি এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। সব মিলিয়ে, পহেলগাঁও হামলার পর দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রীতিমতো সতর্ক ভারত।

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Terror Strike) পর ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে (India Pakistan Border) গুলিবর্ষণ চলছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে পাকিস্তানের পতন নিশ্চিত... ভারত এর জন্য কী কৌশল গ্রহণ করতে পারে।

Scroll to load tweet…

যদি যুদ্ধ অনিবার্য হয়, তাহলে ভারতের উচিত প্রথমে পাকিস্তানের AWACS রাডার সিস্টেম ধ্বংস করা। এর ফলে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলি দূর থেকে আক্রমণ করার ক্ষমতা হারাবে। এই কাজটি প্রথম কয়েক ঘন্টার মধ্যে করা উচিত। যদি AWACS সিস্টেমটি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষে নৌবাহিনী এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়বে।

শুধু তাই নয়, ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, S-400 ট্রায়াম্ফ রয়েছে। এছাড়াও, বারাক-৮ইআর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে। S-400 রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছিল। এর ক্ষেপণাস্ত্র ৮০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। S-400 পাকিস্তানি AWACS বিমানগুলিকে পাকিস্তানে সক্রিয় থাকাকালীন ধ্বংস করতে পারে। 

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রথম ও তীব্র প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে এই হামলার পিছনে থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের কল্পনার বাইরে শাস্তি পাবে।

সেদিন বিহারের মধুবনীতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছেন যে যারা এর আত্মার উপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে তাদের ভারত ছাড়বে না। তিনি বলেন, "ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতাদের চিহ্নিত করবে, ট্র্যাক করবে এবং শাস্তি দেবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।