সংক্ষিপ্ত
শনিবার নওশাদ সিদ্দিকি ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে।
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। শনিবার নওশাদ সিদ্দিকি ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। শুক্রবার রাতেই তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। শনিবার সকালেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ হুমকি ও অশান্তি ছড়ানোর দায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও কংগ্রেস নেতার দাবি তাঁকে 'বিনা কারণে' গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। শনিবার জেল থেকে বেরিয়েই এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আমি জানি না ঠিক কী কারণে আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি যদি সংবিধানের মধ্যে থেকে কিছু বলে থাকেন তবে আমি তাঁর পাশে রয়েছি। তাঁর জন্য গলা ফাটাব।'
শনিবার ৪২ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন নওসাদ সিদ্দিকি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,'কী ভেবেছে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি? এক ফোটাও ভয় পাইনি। আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি কোনও অগণতান্ত্রিক কাজ করিনি। তাই ভয় পাওয়ার প্রশ্নও নেই।' তিনি আরও বলেন,'৩০৭ ধারা দিয়ে আমায় আটকে রেখেছিল। কোনও মানেই হয় না। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে রেখেছিল।' শাসকদলের উদ্দেশ্যে নওসাদের বার্তা,'শাসকদলকে বলব জেলের মান উন্নত করুন। সেন্ট্রাল লক আপ অনুন্নত।' নওসাদের সংযোজন,'আমি লড়াই জারি রাখব। মানুষের পাশে সর্বদা থাকব।'
জামিন পাওয়ার পরেও শুক্রবারও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগাড়েই থাকতে হল নওসাদ সিদ্দিকিকে। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান,'আইনি জটিলতার কারণে কোনও কারণবশত আদালত থেকে মুক্তির কাগজ এসে পৌঁছয়নি। জেলের সমস্ত লকআপও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পর যদি কাগজ আসেও। তা হলে নিয়ম মেনে লকআপ খোলার পর অর্থাৎ আগামী কাল সকালে তাঁকে ছাড়া হবে।' প্রসঙ্গত, বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি-সহ একাধিক দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে শহরের বুকে বিশাল মিছিলের পরিকল্পনা আইএসএফ-এর। বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা হবে এই মিছিল। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে এই মিছিলের কারণে তীব্র যানজটের আশঙ্কা থাকছে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায়। এমনকী শহরের একটা বড় অংশের ট্রাফিক পরিষেবা অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে এগোনোর কারণে রবীন্দ্র সদন-পাইকপাড়া, সন্তোষপুর-বৈশালী, ঘটকপুকুর-বাবুঘাট, সল্টলেক-বাবুঘাট, তপসিয়া-বাবুঘাট, বাগবাজার-খিদিরপুর, হাই কোর্ট-পিকনিক গার্ডেন ইত্যাদি রুটের বাসে প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন -
'আমি লড়াই জারি রাখব', ৪২ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েই হুঙ্কার নওসাদের
শুক্রবারও জেলযাপন নওসাদ সিদ্দিকির, কেন জামিনের পরও সংশোধনাগারে থাকতে হল আইএসএফ বিধায়ককে?