সংক্ষিপ্ত
কার হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠল এই স্বপ্নপুরী? কেনই বা এমন অভিনব উদ্যোগ?
পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ায় গেলেই দেখা যাবে এক অন্য দৃশ্য। যেন এক টুকরো শান্তিনিকেতন। গোটা গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে আস্ত একটা পাঠশালা। মাটির বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে স্বরবর্ণ, ব্যাঞ্জনবর্ণের অক্ষরমালা। কোথাও আবার আঁকিবুকি। আবার কোনও দেওয়ালজুড়ে রয়েছে অঙ্ক কষা। হঠাৎ করে দেখলে যেন মনে হয় কেউ নিজে হাতে গড়েছেন গ্রামটাকে। যেন রুপকথার এক দেশ, বা আবলতাবলের পাতা থেকে তুলে আনা আস্ত একটা ছড়ার গ্রাম। কিন্তু কার হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠল এই স্বপ্নপুরী? কেনই বা এমন অভিনব উদ্যোগ?
জামুরিয়ার রাস্তায় ঘাটে লোকে তাঁকে চেনেন রাস্তার মাস্টার বলে। দীপনারায়ণ নায়েক পেশায় শিক্ষক। জামুরিয়ার তিলকা মাঝি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। তবে তাঁর পড়ানোর গন্ডী সীমাবদ্ধ নেই ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে। বরং গোটা গ্রামকেই নিজের ব্ল্যাকবোর্ড বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় চলে তাঁর ক্লাসরুম। সেই থেকেই নাম হয়েছে রাস্তার মাস্টার। দীপনারায়ণ নায়েকের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। এবার গ্লোবাল টিচার পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন 'রাস্তার মাস্টার'।
করোনাকালে প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ডিজিটাল পড়াশোনার বাইরে বেরিয়ে একেবারে ব্যাতিক্রমী ভঙ্গিতে বাচ্চাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করেন গ্লোবাল টিচার। ইউনেস্কোর সাহায্যেই গ্লোবাল টিচার প্রাইজ ২০২৩-এর দশ ফাইনালিস্টের তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছেন জামুরিয়ার এই শিক্ষক। এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৩০টি দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা। সেখান থেকেই নাম আসে দীপনারায়ণ বাবুর। তাঁ কর্মকাণ্ডের প্রশংসা বিশ্বজুড়ে।
আরও খবরের জন্য আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।