সংক্ষিপ্ত
নানুরে বাসাপাড়ায় বুধবার রাতে কর্মী বৈঠকে কাজল শেখ বসেছেন, 'আমি দাবা খেলতে জানি। হাডুডু-ও জানি। খেলা হবে। গান শুনিয়ে লাভ নেই।'
অনুব্রত মণ্ডল দীর্ঘ ২ মাস পরে বীরভূমে ফিরতেই তাঁকে 'দাদা' বলে সম্বোধন করেছিলেন কাজল শেখ। কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বদলে গেল বীরভূমের রাজনৈতিক সমীকরণ। বুধবার অনুব্রত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে বৈঠক করলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কাজল শেখ। কিন্তু সেই দিনই নিজের এলাকা নানুরে দলীয় কর্মীদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিলেন কাজল শেখ। বীরভূম জেলা রাজনীতিতে অনুব্রত আর কাজলের সম্পর্ক অনেকেটাই 'সাপে নেউলে'।
নানুরে বাসাপাড়ায় বুধবার রাতে কর্মী বৈঠকে কাজল শেখ বসেছেন, 'আমি দাবা খেলতে জানি। হাডুডু-ও জানি। খেলা হবে। গান শুনিয়ে লাভ নেই।' এই দলীয় বৈঠকেই তিনি বলেন, 'পাঙ্গা নিতে এসো না। হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। যে দিন গোটাব সেই দিন একদম গুটিয়ে দেব।' কাজল শেখ তাঁর বক্তব্যে কারও নাম করেননি। তবে বীরভূমের রাজনীতি যথেষ্ট তাঁর এই মন্তব্যে।
বুধবার নানুরে কাজল শেখ আরও বলেছেন, 'গ্রুপবাজি করতে এসো না। গ্রুপবাজি করতে লে ভাল হবে না। ' তবে তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে তিনি কাজ করবেন। মুখে অনুব্রতকে অভিভাবক, দাদা বললেও বীরভূমের রাজনীতির রাশ যে কাজল অনুব্রতর হাতে তুলে দিতে চাইছেন না তা তৃণমূলের বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে বলেও অনেকে মনে করছেন।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খহর কাজল শেখের নিশানায় রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ট করিম খান। করিম খান এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা। দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের সব মামলার শুনানিতে তিনি হাজির থাকতেন। অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের সঙ্গেও যোগাযোগে রেখে এসেছেন। সূত্রের খবর অনুব্রতর তিহার-বাসের সময় অনুব্রতর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। নানুরেরই বাসিন্দা। কাজল শেখেরও উত্থান নানুরে। যাইহোক করিম খান বীরভূম জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। গত পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি করিম খান। এই সময় অনুব্রত জেলবন্দি ছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।