সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনার পর সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।

সোমবার সকালে, রাঙাপানি স্টেশন পেরোনোর ঠিক পরেই ফাঁসিদেওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০ জন এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৪০ জন আহত। তার মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসার ফলেই এই দুর্ঘটনা। একটি মালগাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। কার্যত, মালগাড়ির ইঞ্জিনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘার বগি উঠে যায় ওপরে। তার নিচ দিয়ে সজোরে ঢুকে যায় মালগাড়ির ইঞ্জিন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় ছ’বছরের শিশু। তার বাবা-মাও হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার সে বাবা-মায়ের সঙ্গে উঠে ছিল আগরতলা থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির নাম স্নেহা মণ্ডল। সে মালদহের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাত ৩টে ১৬ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছয়।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিয়ালদহে খোলা হয় বিশেষ হেল্প ডেস্ক। সেইসঙ্গে, আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি জানান, আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে তাঁর।

দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে উদ্ধারকাজ। সেইসঙ্গে, লাইন পরিষ্কার করার কাজও চলতে থাকে। এনডিআরএফ, পুলিশ এবং প্রশাসন একসঙ্গে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে কিছুটা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।