সংক্ষিপ্ত
এক ভিডিও বার্তায় সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কণিষ্ক। ভিডিওতে তিনি বলেন আগে সবাই বলতেন কলকাতা চলো, ব্রিগেড চলো, ময়দান চলো। এখন তৃণমূল বলে কাঁথি চলো।
রাত পোহালেই পূর্ব মেদিনীপুরেরে কাঁথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাই ভোল্টেজ জনসভা। তার আগে এক ভিডিও বার্তায় তৃণমূল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নম্বর-টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রাক্তন তৃণমূলী ও বর্তমানে বিজেপি নেতা কণিষ্ক পান্ডা। তিনি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিশেষ ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। তাই শুভেন্দু দল ছাড়তেই কোপ পড়ে তাঁর ওপর। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় তৃণমূল থেকে।
এবার এক ভিডিও বার্তায় সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কণিষ্ক। ভিডিওতে তিনি বলেন আগে সবাই বলতেন কলকাতা চলো, ব্রিগেড চলো, ময়দান চলো। এখন তৃণমূল বলে কাঁথি চলো। কারণ তৃণমূল জানে তাঁদের ভয় পাওয়ার কারণ এখানে রয়েছেন। তাঁর নাম শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। এদিন ভিডিও বার্তায় নিহত দেবাশিস আচার্যের প্রসঙ্গও তুলে আনেন এই বিজেপি নেতা। তিনি নিজের মোবাইলে দেবাশিসের সঙ্গে নিজের ছবি দেখান। তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন এই সেই ব্যক্তি যাঁকে খুন করা হয়েছিল। এখনও তার খুনে অভিযুক্তদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি চণ্ডীপুর যুব তৃণমূলের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারেন দেবাশিষ আচার্য নামে ওই যুবক। পরে দেবাশিসকে পাশে বসিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করেন কণিষ্ক। এদিন কণিষ্ক বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথি কলেজে সভা করবেন। আগে কখনও কাঁথি কলেজে কোনও রাজনৈতিক সভা হয়নি। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যত সভা করবেন, তত বিজেপির ভোট বাড়বে। ২০২১ সালের ফল হয়ত এখনও তৃণমূল ভুলে যায়নি।
কণিষ্ক পান্ডার পাল্টা এদিন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে কার্যত জনসভায় অভিষেককে হুঙ্কার দিতে দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করেন। তারপর থেকেই শুভেন্দু সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তাঁর আক্রমণের অন্যতম নিশানা ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যেকোনও সভা সমাবেশ এমনকি দলীয় কর্মিসভাতেও মমতা- অভিষেককে আক্রমণ করে থাকেন।
পাল্টা অভিষেক ও মমতাও আক্রমণ করেন শুভেন্দুকে। তিন রাজনৈতিক ব্যক্তির সম্পর্কও বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ির সামনে তৃণমূলের সভা তাঁর পরিবারের শান্তিভঙ্গ করতে পারে বলও আশঙ্কা। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লেও এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস দুই সাংসদকে আমন্ত্রণ জানায়নি। দলীয় সূত্রে খবর, শিশির ও দিব্যেন্দু - তৃণমূলের কেউ নয় - তাই আমন্ত্রণ জানান হয়নি বলে নেতাদের দাবি।