সংক্ষিপ্ত

দ্রুত দরজা খোলেন তারা। দরজা খুলেই অবাক নব দম্পতি। একটি নয়, দুটি নয়, রীতিমতো টোটো করে একে একে ৬৪টি কার্তিক তাদের বাড়ির দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এ যে বন্ধুদেরই কীর্তি, তা বুঝতে বাকি থাকেনি এই নব দম্পতির।

এরকম অভিজ্ঞতা আর কারোর সঙ্গে হয়েছে বলে তাঁদের অন্তত জানা নেই। ঘরের দুয়ারে কার্তিক ফেলে যাওয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। একটা বা দুটো কার্তিক ঠাকুর ফেলে যাওয়ার খবর আসে প্রতিবছর, রাজ্যে নানা প্রান্ত থেকে। কিন্তু এবার বর্ধমান থেকে যে খবর মিলল, তা সত্যিই বেশ চমকে দেওয়ার মত। এই জেলার ছেলে অমিত আর শিল্পীর বিয়ে হয়েছে মাত্র ৬ মাস আগে। কিন্তু এবারের কার্তিক পুজোতে এই নব দম্পতির এক নতুন অভিজ্ঞতা হল। মাঝরাতে বেজে উঠলো বাড়ির কলিং বেল।

বাড়ির সবাই স্বাভাবিকভাবে খুব অবাক হন। দ্রুত দরজা খোলেন তারা। দরজা খুলেই অবাক নব দম্পতি। একটি নয়, দুটি নয়, রীতিমতো টোটো করে একে একে ৬৪টি কার্তিক তাদের বাড়ির দুয়ারে দাঁড়িয়ে। এ যে বন্ধুদেরই কীর্তি, তা বুঝতে বাকি থাকেনি এই নব দম্পতির।

তবে এই পরিবার বন্ধুদের নিরাশ করেনি। বর্ধমানের ওই পরিবারে মহাধুমধাম সহকারে পুজো হল ৬৪টি কার্তিকের। সকলেই পেট পুরে খেয়ে নব দম্পতিদের ঘরে দ্রুত জ্যান্ত কার্তিকের আগমন ঘটুক এই আশীর্বাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ির কর্তা অমিত জানিয়েছে, কার্তিক পুজোর আগের রাতে যারা দফায় দফায় এই ৬৪টি কার্তিক তাদের বাড়ির দরজায় হাজির করেছিল তারা তার অফিসের সহকর্মী। তাদেরও নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়েছে। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা বাড়ি। নিমন্ত্রণ করে পেট পুরে খাওয়ানো হয়েছে সকলকে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে ছোটরাও এদিন ৬৪ টি কার্তিক পুজার আনন্দে মেতে ওঠে। চলে দেদার আনন্দ ও সেলফি তোলার ধুম।

এই পুজো দেখতে এলাকার লোকজন ভিড় জমিয়েছিলেন। বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর বেলপুকুর দেবনাথ পরিবারের কার্তিক পুজো হলো প্রথম বছর । বাড়ির নববধূ শিল্পী জানালেন সে একসঙ্গে ১৮টি কার্তিক প্রতিমাকে পুজো করতে দেখেছে। কিন্তু তার কপালেই যে ৬৪টি কার্তিক একসঙ্গে হাজির হবে তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেন নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে