কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতাকে ‘মিটিয়ে নাও’ বার্তা, ফোন করেছেন কলেজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। অভিযোগ অস্বীকার করে নির্যাতিতা অনড়, ২৫ জুনের ঘটনার হেস্তনেস্ত করতে হবে।

একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। কসবা কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নির্যাতিতা জানান, ‘মিটিয়ে নাও’ এই বার্তা এসেছিল ফোনে। জানায়, এরপর ফোন করেন কলেজেরই এক প্রভাবশালী। তিনি প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, ঘটনাটা ঠিক কী? তারপর বলেন, ইনস্টিটিউশনের না জড়িয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা একটু হাল্কা করা যান কি না দেখো। যদি একটা মধ্যস্থতায় আসা যায়।

ওই দিন তরুণীর কাছে আরও বেশ কিছু ফোন এসেছে। প্রত্যেকেই অভিযোগ না করার পরামর্শ দিনেছেন এবং বলেছেন কলেজের নাম উঠে আসছে। অন্য কিছু ভাবা যায় কি না দেখো।

নির্যাতিতা তরুণী কিন্তু অনড়ই ছিলেন। প্রত্যেককেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম আপসে তিনি যাবেন না। কারণে তাঁর সঙ্গে ২৫ জুন সন্ধ্যার পর যা হয়েছে তার একটা হেস্তনেস্ত করতে হবে। ইউনিযন রুমে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মনোজিৎ সরাসরি কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। অস্বীকার করায় চুলে মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে দেওয়ালে মাছা ঠুকে দেয়।

অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।

এদিকে আবার কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন জনকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। মনোজ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। সেই পদে থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ এই কলেজের পড়ুয়া। তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে।