Kasba gangrape case: কসবায় আইন কলেজের মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।

TMC MP Kalyan Banerjee on gangrape: কসবায় (Kasba) আইন কলেজে (Law College) এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Gangrape) প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) দিন তিনি এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছে। যারা করেছে তাদের ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট করা উচিত। বারবার আমি এক কথাই বলছি। এই সমস্ত ধর্ষণ শ্লীলতাহানি, এগুলো কারা করে? কিছু পুরুষ আছে যারা বিকৃত মস্তিষ্কের। মহিলাদের তাদের বিরুদ্ধেই লড়াই।নিরাপত্তা সব জায়গায় রয়েছে। একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে এক্ষেত্রে কী করা যাবে! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে পুলিশ থাকে না। নিরাপত্তা সহপাঠীরা দেবে। সহকর্মীরা রেপ করছে। তাহলে অন্যায়টা কারা করছে?’

অভিযুক্তদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সরব কল্যাণ

শ্রীরামপুরের সাংসদ আরও বলেছেন, 'প্রাক্তনরা ঢুকল কী করে? নিশ্চয়ই তাদের সঙ্গে কোনও লিঙ্ক আছে। প্রাক্তন হোক আর যাই হোক, সে তো পুরুষ। সেই পুরুষের বিরুদ্ধে মহিলারা কেন লড়ছে না? কলেজ কর্তৃপক্ষ তো সরকার নয়। তারা ব্যবস্থা নেয়। তার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা উচিত। সমস্ত ইনস্টিটিউশনে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে এটা তো হয় না। কার সঙ্গে ঘুরছি, কার সঙ্গে মিশছি সেটা বোঝা উচিত। মানসিকতার পরিবর্তন যতক্ষণ না হবে ততক্ষণ কিছু হবে না। আইন করে জোর করে এটা হবে না। মানসিকতার পরিবর্তন চাই। একজন ছাত্রীকে যদি তার সহপাঠীরা রেপ করে থেকে দুঃখের খবর আর কী হতে পারে! যে-ই করে থাকুক তাদের অ্যারেস্ট করা উচিত। নিরাপত্তা নিয়ে সারা ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে। যারা সে সময় নিষ্ক্রিয় ছিল তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। আইনজীবীও আইনের উপরে নয়। সেও জেলে যাবে।'

শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

কসবার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলগুলি এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে। কল্যাণ অবশ্য সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।