সংক্ষিপ্ত

'খুনিরা এখনও বুক চিতিয়ে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে' শুনানির পরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবার

"বুক চিতিয়ে হাসপাতালে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আমার মেয়ের খুনিরা" শুনানির পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন নির্যাতিতার মা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে ৫০ দিন। এখনও ন্যায় পেতে ঠিক কতদিন লাগবে তা অনিশ্চিত।

এখনও ন্যায়ের পাশাপাশি মেডিকাল কলেজের সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বহুদিন কর্মবিরতির পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে কাজে যোগ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ফের সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকেদের উপরে হামলার কারণে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই দিন এই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা।

তিন জানান, " আমার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার পরেও আরও দু-তিনটি ঘটেছে। সাগরদত্তের ঘটনা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। পড়াশুনার পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকেরা সরাকরি পরিষেবা দেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষটি অবশ্যই সরকারের দেখা উচিত। আরও হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।"

তবে এদিন ও হার মানেননি নির্যাতিতার বাবা। সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্টের উপরে এদিনও আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, " কিছু একটা হবে আশা করছি।"

সামাজিক মাধ্যমে নির্যাতিতার ছবি ছড়িয়ে পড়া নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

এ ছাড়াও তিনি জানান, " যারা মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখনও বুক চিতিয়ে হাসপাতালে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে "

এদিন জুনিয়র চিকিৎসকেদের কর্ম বিরতিতেও সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, " জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে যুক্তিতে কর্ম বিরতি করছে সেটা কি অন্যায়? এটাই আমার প্রশ্ন, ন্যায়সঙ্গত কারণেই তাঁরা আন্দোলন করছেন। নিরাপত্তার অভাবের কারণেই তো আমার ময়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। যাতে এই ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্যই এই আন্দোলন"।