Four accused in OMR sheet destruction case:নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাম উঠেছে একাধিক প্রভাবশালীর নাম। চার্জশিটে রয়েছে এসসসি-র তিন উচ্চপদস্থ কর্তা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তার নাম
Four accused in OMR sheet destruction case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় চাকরি গেছে বাংলার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। দুর্নীতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল। কিন্তু চাকরি যাওয়ার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এই ঠিক কাদের কাদের জন্যপ্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে চাকরি হারাতে হল। তারও উত্তর রয়েছে সিবিআই-এর চার্জশিটে।
আদালতের নির্দেশে ২০২২ সাল থেকেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে তদন্ত সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি ও হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির কারণে জেলে রয়েছের রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাম উঠেছে একাধিক প্রভাবশালীর নাম। চার্জশিটে রয়েছে এসসসি-র তিন উচ্চপদস্থ কর্তা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তার নাম। সিবিআই-এর কথায় তারাই নিয়োগ দুর্নীতির চারমূর্তি। এদের কারণেই ওএমআর শিটে গন্ডোগোল হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর দুর্নীতিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে এই চার সরকারি কর্মকর্তা লিপ্ত বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওমআর শিটের তথ্য নষ্ট থেকে শুরু করে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ, নম্বরে কারচুপি- এগুলি সবই হয়েছে এদের অঙ্গুলিহেলনে। চারজনের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছে রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। যদিও চারজনই বর্তমানে জেলবন্দি। অনেকেরেই মনে এই চারজনের কারণেই চাকরি বাতিল আর সেই সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। উত্তরপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এই চারজনের নির্দেশে। সেই কারণেই প্যানেল বাতিল হয়েছে বলেও তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান।
- কে এই চারজন?
এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নাম জানায়নি সিবিআই। চার্জশিট আর সূত্রের খবর এই চারজন হল- শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
শান্তিপ্রসাদ সিনহা-
একটা সময় এসএসসির পরামর্শদাতার পদে ছিলেন। সিবিআই সূত্রের খবর, অযোগ্য প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ ও তাদের থেকে টাকা তোলার জন্য মিডলম্যান হিসেবে প্রসন্ন রায়, রোহিত কুমার ঝার মতে মানুষকে নিয়োগ করেছিলেন। প্রার্থীদের জন্য জাল সুপারিশপত্র তৈরি করেছিলেন।
সুবীরেশ ভট্টাচার্য-
এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। চার্জশিটে অভিযোগ, কমিশনের সার্ভারে ওএমআর শিটের নম্বর বদলে দিয়েছিলেন সুবীরেশ। ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা ‘নাইসা’র কাছ থেকে নম্বর আসার পরে অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পর্ণাকে মৌখিক নির্দেশ দিতেন সুবীরেশ। ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদেরও প্রাভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে।
অশোক সাহা-
এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অশোক সাহা। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অশোক ১৮৩টি জাল সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্রে অনুমতি দিয়েছিলেন। এর ফলে প্যানেল-বহির্ভূত অযোগ্য প্রার্থীরা বিভিন্ন স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।ওএমআর সংক্রান্ত তথ্য নষ্টের ক্ষেত্রেও হাত ছিল। উত্তরপত্রের ব্যাকআপ সফট কপি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে।
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনিও অযোগ্যদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল এই চারজনকে ২০২২ সালে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এখনও পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


