- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- শমীক ভট্টাচার্যের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে? দেখুন রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে কি করতে হবে
শমীক ভট্টাচার্যের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে? দেখুন রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে কি করতে হবে
Bengal BJP President: বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর পথ কাঁটা মুক্ত নয়। এমন সময় তাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়েছে যখন বিজেপির সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিনি জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর পথ কাঁটা মুক্ত নয়। এমন সময় তাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়েছে যখন বিজেপির সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলি তাঁকেই মূলত মোকাবিলা করতে হবে।
বিজেপির পুরনো নেতা শমীক ভট্টাচার্য। একটা সময় তিনিও রাজ্য বিজেপিতে কোনঠাসা ছিলেন। কিন্তু সেই শমীককেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি করেছেন দিল্লির নেতারা।
শমীককে বিজেপির সভাপতি করার প্রথম কারণই হল তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির মুখপাত্র। যখন বিজেপির তেমন শক্তি ছিল না বঙ্গে, তখন থেকেই তিনি মিডিয়া সামলে এসেছেন। এককথায় দলের বাগ্মী নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
আদি-নব্য দ্বন্দ্ব শমীক ভট্টাচার্যের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এমন সময় তাঁকে বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যখন বিজেপির অনেক পুরনো প্রভাবশালী নেতা দলে কোনঠাসা। তাদের সক্রিয় করাই দিল্লির বিজেপির মূল উদ্দেশ্য বলেও মন করেছে গেরুয়া শিবিরের একটি অংশ। আর ঠিক সেই কারণেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শমীকের ওপর।
বিজেপির টার্গেট শুধুই কট্টোর হিন্দু ভোট নয়, শহুরে মধ্যবিত্ত ভোটও বিজেপির টার্গেট। আর বিজেপিতে শমীকের পরিচয় শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত হিসেবেই। বাংলার 'নাকউঁচু মধ্যবিত্ত' মানুষের কাছে পৌঁছানো কিন্তু শমীকের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ভোটের একটা বড় অংশ এখনও তৃণমূলের দখলে। বাকিটা বামেদের দখলে বলে মনে করছে অনেকে।
ঘর গোছানোর জন্য শমীক ভট্টাচার্যের হাতে রয়েছে সর্বসাকুল্যে ৯-১০ মাস। আগামী বছর যদি এপ্রিল মাসেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট হয় তাহলে তাহলে একটু বেশি সময় পাবেন। কিন্তু বিজেপির একটা অংশ মনে করছে শমীকের পথ কাঁটামুক্ত নয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁকে ঘর গুছিয়ে মমতার মত প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
বর্তমানে বিজেপিতে দুটি মূল গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। একটি শুভেন্দুর লবি আর অন্যটি দিলীপ ঘোষের। সুকান্ত মজুমদারেও একটি নিজস্ব লবি রয়েছে। কিন্তু দিলীপ আর শুভেন্দুকে এক ছাদের তলায় আনা শমীকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই রাজ্যে দুজেনেরই অনুগামীর সংখ্যা বেশি।
দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ছাতার তলায় এনে ২০২৬ সালে নির্বাচনে লড়াই শমীকের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আর চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের আমলে বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন পাওয়ার রেকর্ড ভেঙে দেওয়া। তার থেকেও বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যেই শমীককে এখন থেকেই কাজ করতে হবে।
এই রাজ্যের সবথেকে সফল সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের আমলে তিনি রীতিমত কোনঠাসা। দলের বড় কর্মসূচিতে ডাকই পান না। কিন্তু দক্ষ সংগঠন। দিলীপকে পুরনো ফর্মে ফিরিয়ে আনাও শমীকের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ।
শমীক ভট্টাচার্যের সবথেকে প্লাস পয়েন্ট তাঁর ধৈর্য্য। টিকে থাকার ইচ্ছে। আর সেই কারণে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ তিনি সহজে মোকাবিলা করতে পারবেন বলেও গেরুয়া শিবিরের একটি অংশের অনুমান। পাশাপাশি শমীক একদিকে যেমন আরএসএস-ঘনিষ্ট, অন্যদিকে দিল্লির রাজনীতির সঙ্গেও যথষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।

