তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। এই ঘটনায় কুণাল ঘোষ কাঞ্চনের ধৈর্য্যহীনতার সমালোচনা করেছেন।
চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডে কাঞ্চনকেই দুষলেন কুণাল, দিলেন বিশেষ বার্তা। চিকিৎসক নিগ্রহ কাণ্ডের অভিযোগে শিরোনামে আছেন কাঞ্চন মল্লিক। সদ্য হাসপাতালে ঢুকে দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন- এ গিয়ে দাদাগিরি করেন তৃণমূল বিধায়ক। বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন কাঞ্চন বলে দাবি করেন চিকিৎসক।
সদ্য এই নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যতদূর জানা গিয়েছে, কাঞ্চন এক আত্মীয়ার শারীরিক অসুস্থচা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ওঁর আরও ধৈর্য ধরা উচিত ছিল, মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত ছিল।’
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটেছে ঘটনাটি। এদিন শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে ট্রপিক্যালে যান কাঞ্চন। বিধায়কের দাবি করেল, তাঁর শাশুড়িকে আগে দেখে দিতে হবে। ডাক্তার জানিয়েছিলেন, একটি শিশুকে তিনি দেখছেন। তাঁকে দেখে কাঞ্চনের শাশুড়িকে দেখে দেবেন। অভিযোগ, এতেই চটে যান বিধায়ক। ডাক্তারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনা দেখে আউটডোরে থাকা অন্য রোগীরা রেগে যায়। তারা প্রতিবাদ জানান। রোগীদের পরিজনদের প্রতিবাদ দেখে ট্রপিক্যাল ছাড়েন কাঞ্চন।
সিনিয়র রেসিডেন্ট স্কুল অব ট্রপিক্যালের প্রণিত রায় বলেন, ওরা স্যারকে চাপ দেন। এক্ষুণি দেখে দিতে হবে বারবার বলতে থাকেন। তারপর স্যার না শুনলে তাঁকে বলেন আপনার নাম কী? রেজিস্ট্রেশন নম্বর কী? আপনাকে ট্রান্সফার করে দেব বলে হুমকি দেন। এই ঘটনায় স্যার দুঃখ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গ, কাঞ্চন এই ঘটনা অস্বীকার করেছে। কাঞ্চন বলেছে, ‘আমি কোনও দুর্ব্যবহার করিনি। এই ঘটনায় খারাপ লেগেছ। আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। উনি কেন রেগেছেন আমি বুঝিনি। তবে ওঁর ব্যবহার খারাপ লেগেছে। ওঁর রোগী এসেছিলেন… আমি বুঝলাম না কেন রেগে গিয়েছে। একজন চিকিৎসকের সঙ্গে এমন কথা বলা যায় না।’


