কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মনোজিৎ মিশ্রের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছেন, মনোজিৎকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে এবং সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। ধর্ষণের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে অভিযুক্তের ঘাড়ে লাভ বাইট কী করে থাকতে পারে?
ফের খবরে কসবা। কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণঘর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মনোজিৎ মিশ্রের পক্ষ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, মনোজিৎ-কে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। ধর্ষণের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তাহলে অভিযুক্তের ঘাড়ে লাভ বাইট কী করে থাকতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আমার মক্কেল কোনও অপরাধ করেনি। তাঁকে উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে। বিষয়টি এখন বিচারাধিন। তাই এই মুহূর্তে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে পারছি না। তবে সময় এলে সত্য প্রকাশ্যে আসবে।… আমার মক্কেল ধর্ষণ করছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সিসিটিভিতে যে অপহরণের কথা বলা হচ্ছে তাও ঠিক নয়।
অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।
রবিবার তিন অভিযুক্তের বাড়িতেই গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে নানা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এম-র বাড়িতে সেই পোশাকগুলোই দেখা গিয়েছে। যেগুলো তিনি ঘটনার সময় পরেছিলেন। সেই পোশাক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন। প্রথমে তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। রবিবার সেই সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়।
এদিকে আবার কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন জনকে বহিষ্কার করা হল কলেজ থেকে। মনোজ এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী। সেই পদে থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ এই কলেজের পড়ুয়া। তাঁদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে।


