সংক্ষিপ্ত
দুয়ারে আইন পরিষেবার অধীনে গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন উকিলরা। যেকোনও সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে আইনি পরামর্শ।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বাংলায় নিজেদের ভিত মজবুত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের জোরালো তদারকি চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল। এর পাশাপাশি চলছে নতুন প্রকল্পের উদ্ভাবন। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে পুলিশ’-এর পর এবার বাংলায় শুরু হল দুয়ারে উকিল পরিষেবা। যেকোনও সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের কাছে আইনি পরামর্শ পৌঁছে দিতে হুগলীর কোন্নগরের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথমবার এলেন আইনজীবীরা। গ্রামবাসীদের আইনি জটিলতা বোঝাতে, পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়েছে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। কলকাতা হাইকোর্ট, হুগলি জেলা আদালত এবং শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। মোট ১০ জন আইনজীবী সকাল থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এই আইনি পরিষেবা প্রদান করেন। কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছালাল যাদব জানিয়েছেন, প্রত্যেকমাসে একদিন করে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। মাসের শেষ শনিবার করে হবে এই দুয়ারে আইনি পরিষেবা।
কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, “দুয়ারে আইনি পরিষেবা চালু করা হয়েছে । তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসবেন সাধারণ মানুষকে আইনি সুবিধা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য। জমি বাড়ি খাজনা সংক্রান্ত বিষয় ও অন্যান্য একাধিক আইনি জটিলতার থেকে সহজে বাঁচার জন্য এই পরিষেবা দেওয়া হবে।” যেখানে আদালতে লোক-আদালত নামের একটি আলাদা বিভাগ রয়েছে, সেখানে দুয়ারে আইনি পরিষেবা চালু করার কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, সেটা জানিয়েছেন আইনজীবী অরুণ কুমার আগারওয়াল। তিনি বলেন, “কোনও মানুষের পেন্ডিং কেস বা যা অনেকদিন ধরে চলে আসছে তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য লোক আদালত তৈরি। দুয়ারে আইনি পরিষেবার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে শুধুমাত্র মানুষজনদেরকে আইন সম্পর্কে সচেতন করা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে যদি এই দুয়ারে আইনি পরামর্শ থেকে কাউকে আদালতে আসতে হয়, সেখানে যাতে বিনা ব্যয়ে তাঁদের কাজ হয়ে যায়, তার জন্য লিগাল সেলের তরফে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।”
যদিও এই নতুন পরিষেবা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, “তৃণমূল আইন পকেটে নিয়ে ঘুরছে। এক বছর আগে বিজেপি এক নেত্রীর ওপর কোন্নগরে আক্রমণ হয়েছিল, সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যেখানে কোনও আইনই নেই, সেখানে তাঁরা আইনি পরামর্শ দিচ্ছে। মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া কোনও কাজ নেই। তাঁরা নিজেরাই আইন ভাঙেন। আইনি পরামর্শ তাদেরই দরকার। যেদিন সরকার চলে যাবে সেদিন দেখব তাঁরা কার কাছে গিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন।”
আরও পড়ুন-
গ্রেফতার হওয়ার ৭ মাস পর বিজ়নেস ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মানজনক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
স্বাস্থ্যখাতে ৫ শতাংশ করবৃদ্ধি সম্পর্কে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ ‘ভুয়ো’! 'বিরোধীরা গালে থাপ্পড় খেয়েছে', তীক্ষ্ণ কটাক্ষ বিজেপি মুখপাত্রের