সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। আর এবার এই দমদম কেন্দ্রেই ভোটের ফলপ্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে কার্যত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। আর এবার এই দমদম কেন্দ্রেই ভোটের ফলপ্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটের আগের রাত থেকেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে গোলমালের খবর আসতে থাকে। এমনকি ভোটের দিনও বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ঝামেলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর শাসকদলের দিকে। আর এবার ভোটের ফলপ্রকাশ। মঙ্গলবার, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর গোলমাল আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই মঙ্গলবার, পানিহাটির গুরু নানক ডেন্টাল কলেজের গণনা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, আরও ৭টি বিধানসভা এলাকাতেও বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। কোনওভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা হাতের বাইরে না চলে যায়, সেদিকে সতর্ক থাকছে প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে রবিবার, ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া জানান, “ভোটের ফলপ্রকাশের সময় এবং পরে তাকে কেন্দ্র করে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা আটকানোর জন্য আমরা তৈরি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশও নজরদারি চালাবে।”
তাঁর কথায়, দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে দমদম লোকসভার গণনা কেন্দ্রের জন্য। এছাড়াও বাকি ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি থানায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া রাজ্য পুলিশের বাহিনীও মজুত রাখা হচ্ছে। সবকটি থানায় থাকবে কুইক রেসপন্স বা কিউআরটি টিম।
ইতিমধ্যেই, ভোটের পর দমদমে বিজেপির একজন বুথ এজেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন সিপিএম-এর এক পোলিং এজেন্টের ওপরও আক্রমণের অভিযোগ সামনে এসেছিল। বেশিরভাগ অভিযোগই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের দাবি, সবই ভিত্তিহীন।
কিন্তু মঙ্গলবার, ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজনৈতিক হিংসা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে চাইছে পুলিশ। সেই মতোই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।