Maldah TMC News: এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতেই সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশি লাভলি খাতুনের। তারপর কী হলো? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Maldah TMC News: অপসারিত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ‘বাংলাদেশি’ লাভলি খাতুনের নাম খসড়া ভোটার তালিকায়! বাংলাদেশি’ বিতর্কে বাতিল হয়েছে জাতিগত শংসাপত্র। খোয়াতে হয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধানের পদ। কিন্তু এসআইআরের খসড়া ভোটার লিস্ট প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, সেখানে নাম রয়েছে বিতর্কিত লাভলি খাতুনের! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। খসড়া তালিকায় তাঁর নাম রয়ে গেল কেন? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

ঠিক কী ঘটেছে? 

ওবিসি শংসাপত্র ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রধান। অপসারিত প্রধান বাংলাদেশী বলে তৃণমূলের একাংশের তরফেই দাবি করা হয়। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন(এসআইআর) চালু হতে তার গণনা পত্র পূরণকে ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। তাতে নাম রয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের অপসারিত প্রধান লাভলি খাতুনের।

প্রসঙ্গত- প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনকে এবার বাংলাদেশে (Bangladesh) পুশব্যাকের দাবি তুলে সরব হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুন। আগেই তাঁকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। এবার তাঁকে সরাসরি বাংলাদেশে পুশব্যাকের দাবিতে সোচ্চার হয় বিজেপি (BJP News)।

জানা গিয়েছে, যেখানে প্রশাসনের তরফেই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে, তৃণমূলের তরফে কেন তাঁকে পুশব্যাকের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি। এই বিষয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের রসিদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি বলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন লাভলির কাছে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী। এরপরই বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালতে। 

তদন্তে দেখা গিয়েছে যে- লাভলি খাতুন আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। সে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এবং এক ব্যক্তিকে তাঁর বাবা সাজিয়ে এদেশের কাগজপত্র বের করে নিয়েছেন তিনি। কারণ, ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্রে তাঁর বাবার নাম ও বাংলাদেশের দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ শংসাপত্রে তার বাবার নাম পৃথক রয়েছে। যা দেখেই সন্দেহ হয় প্রশাসনের।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।