আগের দিন রাতে এক যুবতীকে নিয়ে ওই হোটেলে গিয়েছিলেন যুবক বাবলু মণ্ডল। হোটেল কর্মীরা জানিয়েছেন, দুজনে একসঙ্গে থাকার বেশকিছু সময় পর ওই যুবতী হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হোটেল কর্মীরা আর তাঁকে ফিরে আসতে দেখেন নি। 

অবশেষে খোঁজ মিলল সেই রহস্যময়ী যুবতীর। সোদপুরের ঘোলা থানা এলাকায় হোটেলে এক যুবকের রসস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এক যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম তিতলি দে। সূত্রের খবর, টানা ৬ ঘণ্টা পুলিশি জেরার পর যুবতীকে গ্রেফতার করেছে ঘোলা থানার পুলিশ । প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এই মহিলার । সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই হয়ত হোটেলে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবক বাবলু মণ্ডল।

সোদপুর এলাকার মুড়াগাছায় একটি হোটেল থেকে মিলেছিল বাবলু মণ্ডল নামে এক যুবকের মৃতদেহ। হোটেলকর্মীরা ঘরের মধ্যে দেহ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন ঘোলা থানায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ওই যুবকের । জানা যায়, আগের দিন রাতে এক যুবতীকে নিয়ে ওই হোটেলে গিয়েছিলেন যুবক বাবলু মণ্ডল। হোটেল কর্মীরা জানিয়েছেন, দুজনে একসঙ্গে থাকার বেশকিছু সময় পর ওই যুবতী হোটেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হোটেল কর্মীরা আর তাঁকে ফিরে আসতে দেখেন নি।

হোটেল থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের পর পলাতক যুবতীকে নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে পুলিশের। খোঁজ চলে সেই রহস্যময়ী যুবতীর। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। রহস্যের জট ছাড়াতে হোটেলের সিসিটিভি-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্মীরা। পরীক্ষা করে দেখা হয় মৃত যুবকের মোবাইল ফোন। ফোনের কোন সূত্র ধরে পুলিশ ওই রহস্যময়ী যুবতীর নাগাল পেয়ে যায়। মৃত বাবলু মণ্ডলের বান্ধবী তিতলি দে-কে আটক করে শুরু হয় কয়েক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশি জেরায় জানা যায়, তাঁদের দুজনের সম্পর্ক বহুদিনের। সম্প্রতি নানান ইস্যুতে তাদের সেই সম্পর্কে চিড় ধরে । যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিতলি । কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই যুবতী যদি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তবে কেন বাবলুর সঙ্গে ওই হোটেলে গিয়েছিলেন? দুজনের মধ্যে হোটেলের বন্ধ ঘরে কী এমন ঘটেছিল? যুবক নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি কেউ তাকে বাধ্য করেছিল? কেন হোটেলের ঘরে বাবলু থাকলেও বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিতলি? এমনই একাধিক প্রশ্নের উত্তরে অসঙ্গতি মেলে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে। জানা যায়, ছয় ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তিতলিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।