- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- মমতার আমলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রর তুলনায় বাড়ছে ছাত্রীর সংখ্যা, সরকারি প্রকল্পের জন্যই কি বদল
মমতার আমলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রর তুলনায় বাড়ছে ছাত্রীর সংখ্যা, সরকারি প্রকল্পের জন্যই কি বদল
পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পড়য়াদের কাছে এটাই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। পরীক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

মাধ্যমিক পরীক্ষা
পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পড়য়াদের কাছে এটাই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। পরীক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাড়ছে ছাত্রীর সংখ্যা
মাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্যান্যবারের তুলনায় এবারও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার ফারাকটা চোখে পড়ার মত।
ছাত্র-ছাত্রী ফারাক
২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৬ হাজার বেশি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৯০ জন। তার মধ্যে ছাত্র ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮২ জন এবং ছাত্রী ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯০৮ জন।
উঠছে প্রশ্ন
ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন- মাধ্যমিকে ছাত্রের সংখ্যা কম কেন? কেন বেশি ছাত্রীদের সংখ্যা? ছাত্রেরা কি বেশি সংখ্যায় ‘স্কুলছুট’ হচ্ছে? না কি ছাত্রীদের স্কুলে অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে? যদি স্কুলছুট ছাত্রদের সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে, তা হলে তারা যাচ্ছে কোথায়? ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়লে সেটাই বা কেন হচ্ছে?
ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার কারণ
অধিংশের ধারনা ছাত্রীদের শিক্ষামুখী করতে ও বাল্যবিবাহ রোধ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। যার কারণে ছাত্রীদের সংখ্যা গত ১৪ বছর ধরে ধীরে ধীরে বেড়েছে।
সরকারি প্রকল্পের কারণ
কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী,সবুজসাথী ও রূপশ্রী প্রকল্পের কারণে ছাত্রীদের মধ্য়ে স্কুল যাওয়ার ঝোঁক আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হয়। আর রূপশ্রী প্রকল্পে মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকা দেওয়া হয়। যদিও এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হল কন্যার বয়স ১৮ বছর হতেই হবে। পড়াশুনার জন্য পড়য়াদের সাহায্য করে রাজ্য সরকার।
শিক্ষা দফতরের হিসেব
শিক্ষা দফতর সূত্রের তথ্য বলছে, ২০১১ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত প্রতি বার মাধ্যমিকেই ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। সে বছর মে মাসে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই পালাবদলের বছরেও ছাত্রের তুলনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ হাজার বেশি।
ব্রাত্য বসুর বক্তব্য
রাজ্যের ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৬টি কারণের কথা বলেছেন, যারমধ্যে রয়েছে সরকারি প্রকল্পের সাফল্য। পাশাপাশি রাজ্যের জনসংখ্যা মহিলাদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়।
বিরোধীদের মত
তবে ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে বিরোধীরা অনেকেই বলছেন, ছেলেরা একটু বড় হওয়ার পরই পড়াশুনা ছেড়ে কাজে চলে যাচ্ছে। আর মেয়েরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধে নিয়ে পড়াশুনা করছে। যদিও শাসক দল তৃণমূলের কথায় ছাত্রদের সংখ্যা কমেনি। উল্টে ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।