Malda News: তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটে এবার সাক্ষীকে শ্যুট আউট করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দলেরই বিরুদ্ধে। তারপর কী হল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Malda News: কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও শুটআউট মালদহে। তৃণমূল নেতা খুনের সাক্ষী মেটাতে এবারে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। মালদার ইংলিশ বাজার থানার অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর এলাকার ঘটনা। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর নাম আতিকুল মোমিন। বয়স ৩৩।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ইংলিশ বাজার থানার লক্ষীপুর এলাকায় গুলি এবং হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দলেরই কাজি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মাইনুল শেখকে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে খুনের মূল সাক্ষী ছিল আতিমুল মোমিন।
তার সামনে আবুল কালাম আজাদকে খুন করেছিল মাইনুল শেখ। তাই সাক্ষী মেটাতে মাইনুলের ছেলে শহীদ শেখ সহ বেশ কয়েকজন আতিকুল মোমিনকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে। জানা যায় রবিবার রাত্রে আতিকুল মোমিন বানিয়া গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিল।
ঠিক সেই সময় মোটরবাইকে ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে সাহিদ সেখ সহ দুজন এসে তাকে গুলি করে। তার পিঠের পাজরে গুলি লাগে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পৌঁছান ইংলিশ বাজার থানার পুলিশ এবং আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে যদিও তৃণমূলের দাবি এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। রাজনৈতিক কোন ব্যাপার নেই।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, আগামী দিনে এই তৃণমূল দলটাই থাকবে না। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি এবং অস্তিত্বের লড়াই নিয়ে এই ঝামেলা।
অন্যদিকে, সামসি পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ, অস্বীকার করলেন প্রধান। পঞ্চায়েত ভবন সংস্কার থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে সামসি গ্রাম পঞ্চায়েত। স্থানীয় বাসিন্দা ও কাজ করতে ইচ্ছুক কিছু ঠিকাদারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান মনীষা দাস স্বজনপোষণ ও নিয়ম ভেঙে কাজ করাচ্ছেন। ব্লক, মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলাপরিষদেও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, টেন্ডারের নিয়ম মানা হচ্ছে না। কোনও নোটিশ পঞ্চায়েত অফিসে টাঙানো হচ্ছে না। গত এক মাস ধরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আড়ালে গোপনে সম্পন্ন হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, পঞ্চায়েত ভবনের সৌন্দর্যায়ন, সাবমার্সিবল বসানো, দেওয়ালে আঁকিবুঁকি ও ফলস সিলিং-এর মতো বেশ কিছু কাজ টেন্ডার ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ আরও যে, পঞ্চায়েতের স্থায়ী নির্মাণ সহকারীকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্য জায়গা থেকে কর্মী এনে প্রকল্প করানো হচ্ছে।
তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনীষা দাস। তাঁর বক্তব্য, সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সামসি সফরে আসায় তাঁদের অভ্যর্থনার জন্য অন ফান্ড থেকে কিছু ছোটখাটো সৌন্দর্যায়নের কাজ দ্রুত করা হয়েছিল। সবকিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।
উঠে আসা অভিযোগকে হাতিয়ার করে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি যেন প্রকল্পের সদ্ব্যবহারকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


